দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে রেল চলাচল শুরু হওয়ার কথা অক্টোবরে। গত আগস্টে সপ্তাহব্যাপী ভারী বর্ষণে নির্মাণাধীন এ রেললাইনের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। অক্টোবর মাসেই উদ্বোধন করা হবে।
এসব বিষয় নিয়ে জাগো নিউজের মুখোমুখি হন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাইফুল হক মিঠু।
জাগো নিউজ: ঢাকা থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যেতে নদীপথ, সড়কপথ ও আকাশপথে যোগাযোগের ব্যবস্থা আছে। এরপরেও এই গন্তব্যে রেল সংযোগ করার যৌক্তিকতা কতটুকু?
ড. মো. হাদিউজ্জামান: পর্যটন কেন্দ্র করে এশিয়ার অনেক দেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আমাদেরও পর্যটন খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা ছিল। বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত আছে, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট আছে। পাহাড়, নদীসহ পর্যটনের সব আকর্ষণ আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার কারণে পর্যটন ব্যাপকতা লাভ করেনি। ঢাকা থেকে সড়কপথে কক্সবাজারে যেতে ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগে। সড়ক, নৌপথ ও আকাশপথে খরচও বেশি। এছাড়া সড়কপথে যানজটের ভোগান্তিতো আছেই। এসব বিবেচনায় নতুন এ রেল নেটওয়ার্কের ফলে ঢাকা-কক্সবাজার গন্তব্যে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।