মুরাদ হাসানকে যেমন ক্ষমতার দম্ভে ভরা ধর্ষকামী, সাইকোপ্যাথ মনে হয়েছে তেমনি ইমনকে মনে হয়েছে পিম্প। আমি ভাবতে পারি না একজন নায়ক-নায়িকাকে একজন প্রতিমন্ত্রী এই ভাষায় কথা বলতে পারে। যারা দর্শকের স্বপ্নের তারকা তারা এতো সস্তা, এতো ব্যক্তিত্বহীন! মুরাদ হাসানের কথাবার্তায় আমার অসভ্য, বিকৃত হাসির খুনি সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও মনে পড়েছে। কারণ তার আগের দিন তারেক জিয়ার কন্যা জাইমা রহমানকে মুরাদ শ্রবণঅযোগ্য ভাষায় আক্রমণ করার ভিডিও দেখেছি। তা মাথায় রয়ে গেছে।
মুরাদ হাসান শুধু জাইমাকে নয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের, খালেদা জিয়াকে নোংরা ভাষায় আক্রমণ করেছেন। অমার্জিত ভাষায় আক্রমণ করেছেন ডা. জাফরুল্লাহকে।
আমার জানা মতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো মন্ত্রী এ যাবতকালে এমন অসভ্য, অমার্জিত ভাষায় কথা বলেননি। অন্য কোনো দেশ হলে তাকে এতোক্ষণে জেলে দেখতাম। তার নোংরা ভাষা, তার নোংরা আচরণ, তার এই রাজনৈতিক কালচার আওয়ামী লীগের জন্য লজ্জার। আওয়ামী লীগ নেতা-নেত্রীদেরও বিরোধী দল নোংরা ভাষায় আক্রমণ করে।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া বিএনপি নেতা আলালের প্রধানমন্ত্রীকে অশ্লীল, অমার্জিত, নোংরা ইঙ্গিত করে দেওয়া ভাষণের ভিডিও আমার চোখে পড়েছে। আমার ধারণা তিনি আইনের আওতায় আসবেন সহসা।
প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপির কাছে মানুষ উন্নত কালচার আশা করে না কিন্তু আওয়ামী লীগ বিএনপির পথে হাঁটবে মানুষ এটা নিতে পারে না; তাহলে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগ উন্নত কিভাবে? মুরাদের ফাঁস হওয়া ফোনালাপে নায়ক নায়িকাকে শুধু অসহায় ভাববো? তাদের কথায়তো তা মনে হচ্ছে না।