তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে মুরাদ হাসানকে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট নির্দেশের ভিত্তিতে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এই উদ্যোগে সারা দেশের যেসব নারী একাগ্রচিত্তে ঘটনাপ্রবাহ অনুসরণ করছিলেন, তারা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া ও তা বাস্তবায়নের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, তার মন্ত্রিসভায় এরকম সদস্যের কোনো স্থান নেই, যারা উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্মে এরকম কুৎসিত ও নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করতে পারেন। বিশেষ করে সে মন্তব্যে কী পরিণতি হতে পারে সে বিষয়ে একটুও চিন্তা না করে নারীদের অসম্মান করার প্রবণতা দেখা যায়।
যাদের সাম্প্রতিক বিতর্কিত ঘটনাগুলো সম্পর্কে ধারণা নেই, তাদের জন্য সংক্ষেপে বলছি। প্রায় ৬ দিন আগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রীর প্রথম ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাকে একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা যায়। তিনি একজন মডেলকে মঞ্চে আহ্বান করেন এবং তার 'জিরো ফিগার' নিয়ে মন্তব্য করেন। তার এই 'বুদ্ধিদীপ্ত' হওয়ার ব্যর্থ প্রয়াসে উপস্থিত দর্শকদের একটি অংশ হেসে ওঠেন এবং যার উদ্দেশ্যে তিনি এ মন্তব্য করেন, সে মডেল স্পষ্টতই বিব্রত হন। এক পর্যায়ে মুরাদ তার দিকে এগিয়ে গেলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো চমকে ওঠেন। এ ধরনের আচরণ কোনোভাবে একজন মন্ত্রিসভার সদস্যের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়। তবে একইসঙ্গে, এ রকম আচরণ করে কেউ বরখাস্ত হবেন, এটাও আমরা আশা করি না, কারণ আগে এ দেশের পুরুষরা এর চাইতেও আরও অনেক খারাপ আচরণ করে পার পেয়ে গেছেন।