এসব গ্রামে যে প্রাণী মানুষকে আক্রমণ করছে, সেটা পাগলা শিয়াল হতে পারে। কারণ, শিয়ালের ৫০টির মতো উপপ্রজাতি আছে। তাদের আকার, আকৃতি ও রং বিভিন্ন প্রকারের হয়। শিয়ালের স্বভাব হচ্ছে দুই বা তারও বেশি শিয়াল যখন একত্রে থাকে, তখন কোনো লোককে একা পেলে আক্রমণ করতে পারে। শিয়াল নিশাচর প্রাণী। যখন তাদের খাদ্যের অভাব হয়, তখন তারা দিনেও লোকালয়ে আসে।
এ ছাড়া শিয়াল, কুকুর, বিড়ালসহ হিংস্র বন্য প্রাণীরা জলাতঙ্ক রোগের রেডিস ভাইরাস বহন করে থাকে। এসব প্রাণী যখন নিজেরা জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়, তখন তারা মানুষ ও যেকোনো প্রাণীকে কামড় দিলে তারাও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হতে পারে। পলাশবাড়ীর ওই সব গ্রামে যেসব প্রাণী মানুষকে আক্রমণ করছে, সেগুলো হয়তো জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। শিয়াল কিংবা কুকুরের জলাতঙ্ক হলে তারা পাগল হয়ে থাকে। সেগুলোই হয়তো মানুষ ও গরু-ছাগলকেও আক্রমণ করছে।