আশ্বিনে রাঁধে, কার্তিকে খায়
যেই বর মাগে, সেই বর পায়
শৈশবে যে কয়টা সামাজিক পার্বণের জন্য উন্মুখ থাকতাম এর মধ্যে ‘আশ্বিনে রাঁধে, কার্তিকে খায়’ পার্বণটি অন্যতম। এই পার্বণটি জীবন থেকে কখন হারিয়ে গেছে একটুও টের পাইনি। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে বাংলার গাঁও-গেরামে ছয় ঋতু ছয় ভিন্ন বৈচিত্র্য নিয়ে হাজির হয়। গ্রীষ্মের খরতাপে চৌচির হয়ে পড়ে মাঠ, পোড়ে জমির ফসল, শরীর থেকে দরদর করে বের হয় ঘাম। সবকিছু ধুয়েমুছে দিতে গুড়ুম গুড়ুম দেয়ার ডাকসহ ধুমধাম করে হাজির হয় বর্ষা। ছিপ-বড়শি নিয়ে মাছ ধরা, বর্ষার টলটলে পানিতে আনন্দে গা ভাসায় গাঁয়ের ছেলেমেয়েরা। ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ প্রবচনটি বর্ষায় গ্রামবাংলার মাছের প্রাচুর্য থেকেই জন্ম হয়েছিল।