অত্যাধুনিক লেন্সযুক্ত ডিএসএলআর ক্যামেরায় ছবি তুলতে কার না ভালো লাগে। আর সেই ছবি যদি হয় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে, তাহলে তো কথাই নেই। ইট-পাথরের শহুরে জীবন থেকে বেরিয়ে কিছুটা স্বস্তি ও ক্লান্তি ঘোচাতে প্রতিদিন সমুদ্রে গা ভেজাতে ছুটে যান হাজার হাজার পর্যটক। আর সৈকতে এসব পর্যটকদের পদচারণকে কেন্দ্র করে জীবিকার চাকা ঘোরে অনেক ভ্রাম্যমাণ আলোকচিত্রীর। সৈকতে ভ্রমণপিয়াসি মানুষের ছবি তুলে জীবিকা নির্বাহ করেন এসব আলোকচিত্রী। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে পর্যটকদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায় প্রায়ই।
বর্তমানে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে যেন আলোকচিত্রীর ছড়াছড়ি। পর্যটকদের দেখলেই ছবি তুলে দিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন তাঁরা। দেশের বিভিন্ন জেলা কিংবা অঞ্চল থেকে আসা পর্যটকেরাও চান সৈকতের আনন্দকে ফ্রেমবন্দী করতে। সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের যাঁদের কাছে ভালো স্মার্টফোন কিংবা ক্যামেরা নেই, তাঁরা এসব আলোকচিত্রীর মাধ্যমে নিজেদের ফ্রেমবন্দী করেন। সমুদ্রসৈকতে অবস্থানরত আলোকচিত্রীরা ছবি প্রতি পাঁচ টাকা নেন পর্যটকদের কাছ থেকে। সৈকতে পর্যটকদের ছবি তুলতে বাধ্য করার জন্য অভিনব কৌশলও ব্যবহার করেন তাঁরা। দূর থেকে জুম লেন্স ব্যবহার করে অনুমতি ছাড়া ছবি তুলে পর্যটককে সেই ছবি দেখিয়ে আরও ছবি তুলতে আকৃষ্ট করেন তাঁরা।