সমাজে একটা পরিবর্তন এসেছে। ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে গেছে। এর প্রভাবে মানুষের জীবনধারাও বদলে গেছে। যন্ত্রের মাধ্যমে বেশি যোগাযোগ হচ্ছে। মানুষের সঙ্গে মানুষের দেখা কম হচ্ছে। ইন্টারনেটে খুব দ্রুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে, যেগুলো খুব স্থায়ী সম্পর্ক নয়। বিয়ে বিচ্ছেদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। সমাজের সর্বক্ষেত্রে একটা অবক্ষয় ঘটেছে। এর প্রভাব বাচ্চাদের ওপরেও পড়ছে। এর ওপর করোনার ধকলও পার করতে হচ্ছে। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের ঘুরে বেড়ানোর কথা। কিন্তু তারা ঘরে বন্দি ছিল। গবেষণা বলছে, টিনএজ বয়সে তারা যে ক্ষতির শিকার হয়েছে, তা পূরণ করতে অনেক সময় লেগে যাবে।
আত্মহত্যার পেছনে হতাশা, দুশ্চিন্তা, বিষণ্ণতা ও একাকিত্ব কাজ করে। বিষণ্ণতা ও দুশ্চিন্তা আমাদের সবারই কমবেশি হয়। কিন্তু যখন এটি ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে কিংবা অসুস্থতার পর্যায়ে চলে যায়, তখনই সমস্যা। পেছনে যদি কোনো কষ্টের ঘটনা থাকে তখন অনেকেই মানসিক অসুস্থতায় ভোগেন।