গণতন্ত্রে ‘জনতার আদালত’ শব্দবন্ধটি ব্যাপক জনপ্রিয়। এ অদৃশ্য আদালতে বিচারক থাকে না। কাঠগড়া থাকে না। উকিল–মোক্তার থাকে না। কিন্তু এই আদালতে অপরাধী আইনের ফাঁক গলে বের হতে পারে না এবং এখানে অপরাধীর যথাযথ বিচার হয়—এমন একটি জনশ্রুতি প্রতিষ্ঠিত আছে। কিন্তু আইন বলে, জনতার আদালত বলে কিছু নেই। যেকোনো অপরাধের বিচার একমাত্র সংবিধানের আলোকে প্রণীত বিদ্যমান আইনের মাপকাঠিতেই সম্ভব এবং সেই মাপকাঠি ব্যবহার করার দায়িত্ব ও অধিকার রাষ্ট্র নিযুক্ত সম্পূর্ণ নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টিসম্পন্ন বিচারকের।
সমস্যা হলো, যে মনুষ্যযন্ত্র বা যাঁরা আইন প্রয়োগ করেন এবং অভিযুক্তকে কাঠগড়ায় সোপর্দ করেন, সেই ব্যক্তিরা যদি ঠিক ঠিক প্রমাণাদি দাখিল করতে ব্যর্থ হন, তাহলে বিচারকের সামনে অভিযুক্তকে খালাস দেওয়া ছাড়া পথ থাকে না। তার চেয়ে বড় সমস্যা হলো, তাঁদের সেই ব্যর্থতা কি আসলেই ব্যর্থতা, নাকি তা ইচ্ছাকৃত অনিয়ম বা গাফিলতির ফল, তা প্রমাণের সুযোগ খুবই কম থাকে।