আফগানিস্তানের এই পরিবর্তনটা অনেক দিন ধরেই অনিবার্য মনে হচ্ছিল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, আফগানিস্তানে কখনো বিদেশি শক্তি দীর্ঘদিন দেশটির ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। পাশাপাশি আফগানিস্তানের ভেতরের শক্তির পাশাপাশি বাইরের শক্তির কারণে বাইরের কারও সেখানে দীর্ঘদিন থাকা সম্ভব নয়। আফগানিস্তানের মতো দেশে জাতিরাষ্ট্র গঠনের ভাবনা এবং যে রাষ্ট্রব্যবস্থা বর্তমানে দেখছি, সেটি অনেক বিচ্ছিন্ন।
এখানে নেশন স্টেটস ডেভেলপ করা খুব জটিল। জাতি গঠনের যে ধারণায় যুক্তরাষ্ট্র অভ্যস্ত, এমন উদার একটি কাঠামো সেখানে গঠন করা সম্ভব ছিল না—এটা অনেকেই জানতেন। এটা জহির শাহ পারেননি, আমানুল্লাহ পারেননি, সোভিয়েত আমলে রুশরাও পারেনি। প্রতিবেশী পাকিস্তানের সব সময় একটি বড় ভূমিকা রয়েছে আফগানিস্তানে। ইরান পাশের দেশ হলেও শিয়া-সুন্নি একটি সংঘাত রয়েছে। পশতুন–অধ্যুষিত আফগানিস্তানের নৈকট্য পাকিস্তানের সঙ্গেই বেশি।