তালেবানের কাবুল দখল করার এক বছর পূর্ণ হয়েছে সোমবার। বিষয়টি শুধু একটি সরকারের পতন নয়, বরং একটি জাতির স্বপ্নের পতনকেও নির্দেশ করে। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টিকে এভাবেই বর্ণনা করেছিলেন এক আফগান। কেউ কেউ অবশ্য আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনাদের বিদায়, দুই দশক ধরে বেসামরিক লোকদের ভয়ংকর হতাহতের ঘটনা এবং দুর্নীতির পর শান্তির সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছিল।
তবে এটিও ঠিক যে দেশটিতে সহিংসতা ও আত্মঘাতী বোমা হামলা সত্ত্বেও অনেকের জন্যই এই বছরগুলো গড় আয়ু ও সাক্ষরতার বৃদ্ধি এবং নতুন সুযোগ ও আকাঙ্ক্ষা তৈরিতে ভূমিকা রাখে। যেমন গ্রামীণ এলাকা ও বড় শহরগুলোর নারীরা শিক্ষা ও চলাফেলার স্বাধীনতা চেয়েছিল।
দেশটিতে দুঃস্বপ্ন আরো গভীর হচ্ছে। আফগানরা এখন তালেবান নিপীড়ন ও গণক্ষুধার সঙ্গে দিন কাটাচ্ছে। দাবি করা হয়েছিল যে ২০ বছর পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট উত্খাত হওয়ায় বিশ্ববাসী এক মধ্যপন্থী তালেবানকে দেখতে পাবে। এটি সত্য যে অনেকেই যেভাবে দেশটিতে গণমৃত্যুদণ্ডের আশঙ্কা করেছিল, বাস্তবে তেমনটি ঘটেনি। আবার এটিও ঠিক, তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশটিতে সমালোচক ও বিরোধীদের হত্যা করা হয়েছে, নির্বিচারে আটক ও নির্যাতন করা হয়েছে এবং মিডিয়াকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।