৬০-৭০ বছর আগে সোনামুখীর তাঁত শিল্পীরা শুরু করেছিলেন পাগড়ি বোনার কাজ৷ আফগানিস্তান থেকে হিং, গালা বিক্রি করতে এসে তাঁতিদের হাতে বোনা ধুতি, সিল্কের থান দেখে মুগ্ধ হন কাবুলিওয়ালারা৷ নগদ টাকার বিনিময়ে পাগড়ি কেনার প্রস্তাব দেন৷ তারপর থেকে সোনামুখীর তাঁতিরা পাগড়ি তৈরি করছেন৷ এখানকার পাগড়ি সৌদি আরব, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মাটিতে পৌঁছে যায়৷ রেশমের পাগড়ির দাম দু'হাজার টাকা থেকে শুরু, পলিয়েস্টার পাগড়ি শুরু ৪০০ টাকা থেকে৷ এক সময় খোদ কাবুলিওয়ালারা সেসব পাগড়ি কিনে নিয়ে যেতেন দেশে৷ পাশাপাশি সোনামুখী থেকে পাগড়ি আসতো কলকাতার বড়বাজার এলাকায়৷ সেখান থেকে পৌঁছে যেতো বিদেশের মাটিতে৷ লকডাউনের পর এই ব্যবসায় ভাটা পড়েছে৷ আগে ৭০০-৮০০ তাঁতি পাগড়ি বুনলেও, এখন সংখ্যাটা কমে ২০০-র নীচে এসে ঠেকেছে৷