শেষ হচ্ছে শোকের মাস। আজ ৩১ আগস্ট। হৃদয় ভারাক্রান্ত করে তোলা মাসটির বিদায়ের সঙ্গে ক্রন্দনমাখা এক দুঃসহ যন্ত্রণার কাঁপা কাঁপা সুর বেজে ওঠে। এই শোককে শক্তিতে পরিণত করার প্রেরণা বার বার জাগরুক হয়ে ওঠে জাতির জীবনের প্রণোদনায়। বাঙালির জীবনের শোকের মাসটি অতীতকে সামনে নিয়ে আসে। প্রশ্ন জিজ্ঞাসিত হয়, কেন এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ? কেন, কার স্বার্থে, কারা এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞে সংশ্লিষ্ট, তারও হদিস মেলে। কিন্তু পূর্ণচিত্র মেলে না।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। খুনিরা শাস্তিদণ্ড পেয়েছে। তবে হত্যার নেপথ্যে যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্র ছিল, সে বিষয়গুলো চাপা পড়ে আছে। সে সব সত্য উদঘাটিত হবেই। কারণ, এই নির্মম পাপ চাপা থাকবে না। পাপিষ্ঠদের মুখোশ উন্মোচিত হবেই। যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চার দশক পরও সম্ভব হয়েছে, তেমনি ষড়যন্ত্রের সব ক’টি ক্ষেত্রই সামনে আসবে এবং পর্যায়ক্রমে তার বিচারও হবে। জাতি দীর্ঘদিন ধরে সেই প্রত্যাশাই করে আসছে। বাঙালির রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাওয়া স্বাধীন সত্তাকে সেদিন বিসর্জিত করা হয়েছিল।