ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগের পর থেকে কারাগার ব্যবস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন সংশোধন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হতে থাকে। অপরাধ ও অপরাধীদের প্রতি পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি ও বিকাশ, অপরাধীদের প্রতি সমাজের মনোভাবের পরিবর্তন এবং অপরাধকে একটি জটিল প্রপঞ্চ হিসেবে শুধু আইনগত কাঠামোর মধ্যে না দেখে সামাজিক বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে অপরাধ নির্মূলের জন্য সংশোধন ব্যবস্থার গুরুত্ব অনুধাবন করা হয়। মূলত কোনো শাস্তিই অপরাধীকে অপরাধকর্ম থেকে বিরত রাখতে পুরোপুরি সমর্থ নয়। আর সে কারণেই অপরাধীর চারিত্রিক সংশোধনের গুরুত্ব এত বেশি। বয়সের ভিন্নতার কারণে আমরা অপরাধী ও কিশোর অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করি, সে কারণে ভিন্ন ভিন্ন সংশোধন ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। বয়স্কদের তুলনায় শিশু-কিশোরদের সংশোধন বেশি দরকার, কেননা তারা যেন নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে তৈরি করার সুযোগ পায়। কোমলমতি শিশু-কিশোরদের এত অল্প বয়সে কারাগারে নিক্ষেপ করে কঠিন শাস্তি দিলে তাদের মধ্যে যে সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে তার বিকাশের পথ একবারেই বন্ধ হয়ে যাবে। কেননা শাস্তি সংশোধনের একটি উদ্দেশ্য বটে; কিন্তু তা কতটুকু কার্যকর এ নিয়ে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে।