স্যার, দয়া করেন, ঘরটা দেন’। ঢাকা থেকে যাওয়া কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এমন আকুতি ঝরছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী গ্রাম আশিদ্রোনের খাসিয়াপল্লীর বিধবা মেরি বংয়ের (৬০)। তার সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের। সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই মেরি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন তার জীবনযুদ্ধের গল্প। জানিয়েছেন একমাত্র স্বপ্নের কথা—শেষ জীবন কাটাতে সরকারের কাছে একটি ঘর চান। শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহর থেকে আট কিলোমিটার দক্ষিণে হোসনাবাদ টি স্টেট পেরিয়ে আশিদ্রোন গ্রাম। চা বাগানের মাঝ দিয়েই চলেছে সড়ক।
কিছু পাকা কিছু কাঁচা মাটির রাস্তা। সড়ক যেন চলে গেছে টিলা ভেদ করে। চান্দের গাড়িতেও যেন গা ছম ছম করে। সূর্যের আলোকরশ্মি মিলিয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে সবুজ প্রকৃতি যেন পূর্ণ রূপলাবণ্য তুলে ধরেছে। পরিবেশটা যুৎসই অতিথি স্বাগত জানানোর। নয়া অতিথি হিসেবেই কর্মকর্তা-সাংবাদিকদের প্রবেশ আশিদ্রোন খাসিয়াপল্লীতে। চা বাগান পেরিয়ে পানের বরজের মাঝখানে ছোট্ট গ্রাম।