রাজশাহীতে একটি তিন রুমের বাসায় বাস করেন সাত জন মানুষ। একজনের করোনা পজিটিভ আসার পরে চিকিৎসক বাসায় তাকে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেন। এক রুমে তিনি বন্দি হন। কিন্তু ওয়াশরুম সাত জনের জন্য একটি। সেটি অন্য আরেকজনের রুমের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তিনি যখন ওই রুমের ভেতর দিয়ে ওয়াশরুমে যান তখন সেই রুমে কেউ থাকেন না। এটাকেই তারা মনে করছেন আইসোলেশনে থাকা। তিনটি রুমেই তিনি ঘুরছেন ফিরছেন, তখন কেবল অন্যরা ওসব রুমে থাকছেন না। ফলে তিন দিনের ভেতর একে একে বাসার প্রায় প্রত্যেকেই করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। যদিও সকলে টেস্টটাও করাননি। তাদের কাছে আইসোলেশন অর্থ নিয়ে যেমন বিভ্রান্তি আছে, একইভাবে বাড়ির অবকাঠামোগত কারণে আইসোলেটেড থাকার বাস্তবতাও নেই।
এমন পরিস্থিতিতে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জেলাশহরগুলোতে করোনা ছড়িয়ে যাওয়ায় এটি আরও প্রকট সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। কেননা জেলাশহরের আবাসন কোনওভাবেই আইসোলেটেড থাকার মতো সুবিধাদি পাওয়ার মতো করে তৈরি নয়। বেশিরভাগ বাসায় অ্যাটাচড কিংবা একাধিক ওয়াশরুম থাকে না। এমনকি ‘নিজেদের মানুষ, কীভাবে আলাদা রাখি’ ধরনের বক্তব্যও দিয়ে আক্রান্ত রোগীকে নিজেদের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে চান না।