কয়েক বছর আগে দুবাই যাওয়ার পথে বিমানে আমার পাশের সিটে যে নারী বসেছিলেন, তিনি একজন অভিবাসী শ্রমিক। ওনার নাম পেয়ারা বেগম। উনি গন্তব্য ঠিকমতো জানেন না এবং প্লেনে চড়ার পর থেকে শুধু কেঁদেই চলেছেন। দেখে এত মায়া হলো যে কথা শুরু করলাম। কথা বলে বুঝলাম উনি কোথায় যাবেন, কিভাবে যাবেন এটা তার কাছে স্পষ্ট নয়। বাড়িতে মায়ের কাছে দুই শিশু সন্তানকে রেখে এসেছেন বলে মন খুব খারাপ।
টিকেট দেখে বুঝলাম উনি দুবাই যাবেন, এরপর রিয়াদ। ভদ্রমহিলা রোজা রেখেছেন এবং ইফতারির জন্য যে রুটি আর কলা নিয়েছেন, সেটাও লাগেজে দিয়ে দিয়েছেন। আছে সাথে বাংলাদেশী ৫০০ টাকা। আমি প্লেনে দেয়া খাবারটা ওনাকে দিয়ে বলেছিলাম, রেখে দেন, এটা দিয়ে পরে ইফতারি করবেন। লাগেজের রুটি কলা আপনি পাবেন না।