রমজান মাসের ঘটনা। রাজধানীর কদমতলীর স্থানীয় কিশোর গ্যাং নেতা প্রিন্সের সঙ্গে থাকা এক কিশোর ধূমপান করছিলেন। তা দেখে প্রথমে প্রতিবাদ, পরে চড় মারেন আরাফাত। সেই বিরোধের জেরে মাস না পার হতেই গত ২৭ মে প্রিন্স ও শুভসহ ৮/৯ কিশোর কুপিয়ে হত্যা করেন আরাফাতকে।
ওই ঘটনায় সরাসরি জড়িত আট কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তারা স্বীকার করেছে, শুধুমাত্র ধূমপানের কারণে তারা হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। শুধু এ ঘটনা নয়, গত কয়েক বছর ধরে কিশোর অপরাধের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, সিগারেট খাওয়া, প্রভাব বিস্তারের জেরে হরহামেশা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মারধর, সশস্ত্র হামলা, এমনকি খুন করতেও দ্বিধা করছেন না তারা। গত এক বছরে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে অন্তত এক ডজন খুনের ঘটনা ঘটেছে।