রাজধানীর নামকরা একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে মেয়েটি। একদিন জানতে পারে, তার ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে আজেবাজে ছবি ও স্ট্যাটাস দেওয়া হচ্ছে। বন্ধুদের সহায়তায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে ভুয়া অ্যাকাউন্টি বন্ধ করা সম্ভব হয়। তবে যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল, তারা থেমে থাকেনি। মেয়েটির ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জারে যৌন হয়রানিমূলক বার্তা ও ভিডিও পাঠানো শুরু করে। মেয়েটি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
প্রথম আলোর কাছে সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ওই তরুণী বলেন, প্রায় ছয় মাস এমন মানসিক যন্ত্রণায় ভোগার পর পরিবারকে বিষয়টি জানান। বকা খাবেন এবং ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে, এই ভয়ে পরিবারকে বলার সাহস পেতেন না। বয়স কম থাকায় ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তাঁর কোনো ধারণাও ছিল না।