বেশ কদিন বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভয়ানক ঝড় বয়ে গেল। অনভিপ্রেত, অনাকাক্সিক্ষত। অবশ্য এটুকু বললে সব বলা হবে না, বলতে হবে আন্দোলনের নামে বর্বরতা চালিয়ে হেফাজত নামের অধুনা রাজনীতিতে পা রাখা এত দিনের ধর্মীয় সংগঠনটি মানুষ হত্যা, বাড়িঘরে আগুন দেয়া, বহু ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া, উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর সংগীতচর্চার কেন্দ্রটি জ্বালিয়ে দেয়া, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এ চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় এমনই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। গোটা দেশে একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। ওদের কাছে মসজিদ ছিল পুলিশের সঙ্গে লড়াই করার স্থান। ওদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ছদ্মবেশী বিএনপি-জামায়াত তথা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল। ওরা যতই বলুক নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না, এটি তাদের মূল কথা নয়; ওদের টার্গেট হলো শেখ হাসিনা। ওরা জানে, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে হেফাজত-বিএনপি যত লম্ফঝম্ফই দিক, ঘরের বাইরে বেরোতে পারবে না। যে কারণে হেফাজতের বাবুনগরী, কাসেমী, মামুনুল হকরা যত লাফালাফি করছেন, তার চেয়ে বেশি করছেন তথাকথিত কিছু মানবাধিকারকর্মী তথা সমাজকর্মী।
এতে এক নম্বরে আছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এই ভদ্রলোক মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে জমি নিয়ে (কেউ বলেন ২০০ একর, কেউ ২০০ বিঘা) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু আবার যখন জাসদ গণবাহিনীর সৃষ্টি হয়, তখনো তাদের সঙ্গে পাশাপাশি হেঁটেছেন। গণতন্ত্রের কথা বললেও মিলিটারি জিয়া-এরশাদের পছন্দের লোক। এমনকি সব মিলিটারি রেজিম।