অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন শেষে চৌধুরী এ কে এম আমিনুল হক অবসরে গেলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন নুরুল হোসেইন খান। তখনকার দিনে আজকালের মতো ঘটা করে ফুলের তোড়া, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বরণ করার আতিশয্য না থাকলেও নতুন চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে সালাম দেওয়ার রেওয়াজ ছিল, বিশেষ করে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের। আমি তখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে কাজ করি উপপরিচালক (গবেষণা ও পরিসংখ্যান) হিসেবে। সাধারণত পদটিকে শাস্তিমূলক পদায়ন হিসেবে বিবেচিত হতো। আমি স্বেচ্ছায় ও বলতে গেলে খানিকটা তদবির করে পদটা পাই। এটি উচ্চ বা গুরুত্বপূর্ণ পদের কোনোটাই নয়। তাই নতুন চেয়ারম্যানকে বরণকারী দলের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না আমি।
যাহোক, দুপুর না গড়াতেই ডাক পড়ল চেয়ারম্যান সাহেব সালাম দিয়েছেন। প্রথম দর্শনেই দুটো জিনিস লক্ষ করি। নতুন চেয়ারম্যান অত্যন্ত সুদর্শন। মাথার সামনে খানিকটা চুল না উঠলে বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি মনে হতো। দ্বিতীয়ত, তিনি অত্যন্ত মৃদুভাষী। কথা বলে বুঝতে পারলাম, তিনি আমার সম্পর্কে জানেন। আমিও তাঁর সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকস ছাত্র ছিলেন। কেবল পড়াশোনায় নয়, খেলাধুলা ও পাঠক্রমবহির্ভূত বিষয়েও। বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল ব্লেজারধারীদের একজন। পাকিস্তান ট্যাক্সেশন সার্ভিসের সদস্য হলেও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে ইকোনমিক পুলের অফিসার হিসেবে সচিবালয়ে চলে যান।