পুরান ঢাকার চকবাজারে গার্মেন্টস এক্সেসরিজের ছোটখাটো ব্যবসা করেন পলাশ দাস। ২১ বছর ধরে তিনি প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে যান। সড়কপথে ঢাকা থেকে মাওয়া গিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিতে হয় তাঁকে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে যখন পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যানটি সংযোজন করা হচ্ছিল, তখন মাওয়ার শিমুলিয়া স্পিডবোট ঘাটে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় পলাশের। তিনি নদী পাড়ি দিতে স্পিডবোটের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। পলাশ বলেন, ‘এই কষ্টের দিন শেষ হইতাছে। স্পিডবোটে পার অইতে ২০০ টাকা লাগে। যাত্রীদের ভিড় বেশি হইলেই তা আড়াই শ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। পদ্মা সেতু চালু হইলে এই ২০০ ট্যাকার দিন শেষ অইব। আমাগো কষ্ট কমব।’