ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গার দূরত্ব ৬০ কিলোমিটারের মতো। এ পথটুকু গণপরিবহনে যেতে এখন আড়াই থেকে চার ঘণ্টা লাগে—পদ্মা পারাপারে স্পিডবোট, লঞ্চ বা ফেরি যে মাধ্যমই ব্যবহার করা হোক।
পদ্মা সেতু চালু হলে এ পথ যেতে এক ঘণ্টার বেশি লাগবে না। দুই পাশে এক্সপ্রেসওয়ে চালু হয়ে গেছে গত মার্চে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এখন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার অপেক্ষায়।
আজ বৃহস্পতিবার সর্বশেষ স্প্যান স্থাপনের মধ্য দিয়ে পদ্মার দুই পার মাওয়া ও জাজিরা সংযুক্ত হচ্ছে। সরকার আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ পদ্মা সেতু চালুর কথা চিন্তা করছে।
এর আগে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা থেকে মাওয়া এবং জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে ৫৫ কিলোমিটারের এক্সপ্রেসওয়ে। ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৪ কোটি টাকা। এটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন (পশ্চিম)। ২০১৬ সালে এক্সপ্রেসওয়েটির কাজ শুরু হয়। গত মার্চে এটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূল এক্সপ্রেসওয়ে চার লেনের। আর সেতুর দুই পাশে ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য সাড়ে পাঁচ মিটার প্রশস্ত সড়কও রাখা হয়েছে। দেশের প্রথম এই এক্সপ্রেসওয়েতে ৫টি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস এবং প্রায় ১০০টি সেতু ও কালভার্ট রয়েছে।