রাজশাহীরর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের এক আমবাগানে পাঁচ বছর ধরে বাসা বাঁধছে শামুকখোল। নভেম্বর শেষে পাখিরা চলে যায়, এপ্রিলে আবার আসতে শুরু করে। ঘুরেফিরে তারা ওই একটি বাগানেই আশ্রয় নেয়। পাখিদের কারণে গাছে আম হচ্ছে না, গাছও মরে যাচ্ছে।
তাই গত বছর পাখিগুলোকে তাড়িয়ে দিচ্ছিলেন বাগান মালিকেরা। গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পর পাখির আবাস রক্ষা করতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। তখন আমচাষিদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বলা হয়। অবশেষে বাগান মালিকেরা অতিথি পাখির ‘বাসা ভাড়া’ হিসেবে নগদ অর্থ পেতে যাচ্ছেন। গত ১ নভেম্বর পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপসচিব দীপক কুমার চক্রবর্তীর স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বন অধিদপ্তরের অনুন্নয়ন খাত থেকে মোট পাঁচজন বাগান মালিককে পাখির বাসার জন্য মোট তিন লাখ ১৩ হাজার টাকা ইজারা বাবদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।