শিল্পপতি বানানোর লোভ দেখিয়ে ফাঁদ পেতেছিল এসপিসি!

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২০, ১৫:০১

অল্প কয়েক বছরের মধ্যে দেশের সবচেয়ে নামিদামি হাসপাতাল, মিল, ফ্যাক্টরি, কারখানা, গার্মেন্টসের অংশীদারিত্ব হবে আপনার। পাশাপাশি আসবে নগদ টাকা। সদস্য সংখ্যা বাড়াতে পারলে সেই টাকা কিছু দিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে লাখের কোঠায়। হয়ে যাবেন আপনি নিজেও শিল্পপতি। ভুয়া এমএলএম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমডি ও সিইও এমন লোভ দেখিয়ে ২২ লাখ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

রিমান্ডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে এসব তথ্য দেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের আড়ালে চালানো এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস লিমিটেডের এমডি ও সিইও আলামিন (৩২)।

এক বছর আগেও ১০-১২ হাজার টাকার চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতেন ৩২ বছর বয়সী এই যুবক। এখন তিনি চালান কোটি টাকা দামের হ্যারিয়ার গাড়ি। জুতা পরেন অর্ডার দিয়ে বানিয়ে। সকালের নাস্তা ও রাতের খাবার সারেন রাজধানীর অভিজাত হোটেল-মোটেলে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পর্যায়ের লোকজন সাধারণ মানুষকে যেভাবে প্রলোভন দেখিয়েছে তাতে যে কেউই তাদের এই এমএলএম ব্যবসার ফাঁদে পা দিয়ে অল্প সময়ে বড়লোক হতে চাইবে। তারা এসব ভুক্তভোগীর টাকা এবং তাদের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ করে তাদের টাকা থেকেই এদের কমিশন দিত। কিন্তু বলতো কোম্পানি থেকে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া এই কোম্পানি দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হাসপাতাল, শিল্প-কারখানা গড়ে তুলছে। সেখানে প্রত্যেকটি সদস্যের অংশীদারিত্ব থাকছে। এমন প্রতারণায় তাদেরকে আশ্বস্ত করতো।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, ‘এসপিসির প্রতিষ্ঠাতা আলামিনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা একাধিক অভিযান চালিয়েছি। তার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য পেয়েছি। তার স্ত্রী ও তার নামে সিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংকসহ আটটি ব্যাংকের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব অ্যাকাউন্ট ধরে ব্যাংকগুলোর কাছে টাকা লেনদেনের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় থাকা তাদের সম্পদের তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us