পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব শ্রীমঙ্গল। ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য ও সহজলভ্যতার কারণে শ্রীমঙ্গলের হাট বাজারে যত্রতত্র নিষিদ্ধ পলিথিন ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে লাখ লাখ টাকার পলিথিন বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, শহরের পাইকারি কাঁচামালের বাজার সেন্ট্রাল রোড, স্টেশন রোড, মৌলভীবাজার রোড এলাকায় এক শ্রেণির অসাধু পাইকারি ব্যবসায়ী সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রকাশ্যে পলিথিন আমদানি ও বাজারজাত করছে। আর এসব পাইকারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন গোটা উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ছে। স্টেশন সড়কের নতুনবাজারের সড়কের মুখে পলিথিনের পাইকারি ব্যবসায়ীর বাসা, গোডাউন এবং দোকানে দিনভর অভিযান চালিয়ে কয়েক লাখ টাকার পলিথিন জব্দ করে ডিবি পুলিশ। অথচ এই প্রতিষ্ঠানের মালিক বিভিন্ন মহলকে মাসোহারা প্রদান করে আবারো এ নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসা জমজমাটভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। সরজমিন শ্রীমঙ্গল উপজেলার ছোট বড় বাজার, অলিগলি, দোকান ঘুরে পলিথিনের যত্রতত্র ব্যবহার দেখতে পাওয়া গেছে। মাছ, সবজির দোকান থেকে হোটেল রেস্টুরেন্ট, ফুটপাথ, বড় বড় শপিং মলে সবখানেই প্রকাশ্যে ব্যবহার হচ্ছে সরকার নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ। লাউয়াছড়া বন ও জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক জলি পাল বলেন, কিছু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে পরিবেশের জন্য হুমকি এইসব পলিথিন জনগণের হাতে তুলে দিচ্ছে, যা পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনছে। বাপা’র মৌলভীবাজারের সমন্বয়ক আ.স.ম সালেহ সোহেল বলেন, পলিথিন যত্রতত্র ব্যবহারের কারণে অসহনীয় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় এর ব্যবহার ও বিপণন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পলিথিনের বিষয়ে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে। এর পাশাপাশি পলিথিন ব্যবহারের ফলে পরিবেশের যে ক্ষতি হয় এ নিয়ে সব নাগরিকেরও সচেতন হওয়া জরুরি বলে জানান তিনি।