.tdi_2_085.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_085.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});দায়িত্বের মেয়াদ ১৮০ দিন। এর মধ্যে আবার সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটি আছে ৫৫ দিন। ওই হিসেবে কর্মদিবস ১২৫ দিন। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন, নির্ধারিত দিনগুলোতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনিযুক্ত প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নাগরিক প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন? অবশ্য দায়িত্ব পালনের গত ১০ দিনে নিজস্ব কর্মপদ্ধতিতে জানান দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তিনি। আছে নির্ধারিত ছয় মাসের মধ্যে দৃশ্যমান কিছু করে দেখানোর প্রত্যয়ও। এ প্রসঙ্গে খোরশেদ আলম সুজন দৈনিক আজাদীকে বলেন, নাগরিক দুর্ভোগ নিরসনকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। নগরবাসীকে স্বস্তিকর ও মানবিক শহর উপহার দিতে চাই। নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে চাই। এ জন্য যা যা করণীয় তার সবটুকুই করব। সপ্তাহের প্রতিদিনই মাঠে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। এখনো পোর্ট কানেকটিং রোডের চলমান কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছি। বাকি দিনগুলোতেও সার্বক্ষণিক মাঠে থাকব। আসলে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এগুলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। গত ৪ আগস্ট নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুুজনকে সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের জন্য চসিকের প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ৫ আগস্ট চসিকের পঞ্চম পর্ষদের মেয়াদ শেষ হয়। পরদিন ৬ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন তাকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। দায়িত্ব গ্রহণ করেই চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, এতদিন যারা দুর্নীতি করেছেন আজকে তওবা করে ফেলেন। যার কাছে অনিয়ম দেখব, দুই নম্বরী দেখব, আমার সাথে বেঈমানি করবেন, তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেব না। সেটা আইনি পথে বা বেআইনি পথে হোক, যারা বিশ্বাসঘাতক, সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেয় তাদেরকে ক্ষমা করব না। একই দিন তিনি পরিদর্শন করেন পোর্ট কানেকটিং রোডের চলমান সংস্কার কার্যক্রম। এসময় পরবর্তী পাঁচদিনের মধ্যে রাস্তায় যত গর্ত রয়েছে তা ভরাট করে যান চলাচলের উপযোগী করার ও আগামী নভেম্বরের মধ্যে অবশ্যই সংস্কার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। ১০ আগস্ট তিনি চসিক প্রকৌশলীদের সাথে বৈঠক করেন। এসময় সড়ক উন্নয়নকাজে ঠিকাদারের গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথে লাইসেন্স বাতিল ও কালো তালিকাভুক্ত করার নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে নাগরিক সেবা দিতে গিয়ে কোনো প্রকৌশলী অনিয়মে জড়িয়ে পড়লে জবাবদিহি করতে হবে বলেও সতর্ক করেন। ১১ আগস্ট আবারো পিসি রোড পরিদর্শন করেন। এসময় সাগরিকা মোড় থেকে নয়া বাজার পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা, ফুটপাতের উপর বসানো দোকানপাট ও স্তূপীকৃত মালামাল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। না সরালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ঘোষণা দেন তিনি। পরবর্তীতে ১৩ আগস্ট সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অলংকার মোড়স্থ দুটি যাত্রী ছাউনি সংলগ্ন দুটি দোকান ও নির্মাণাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ করে রাস্তা ও ফুটপাতের জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। অবশ্য এ সড়কে আরো কিছু দোকানপাট আছে। মানবিক বিবেচনায় তাদের অন্যত্র সরে যেতে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। এর আগে ১০ আগস্ট পরিচালিত আরেকটি অভিযানে স্টেশন রোড এলাকায় রিয়াজউদ্দিন বাজার সংলগ্ন ফুট ওভারব্রিজের নিচে এবং ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এদিকে ১২ আগস্ট রাজস্ব বিভাগের ২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে বদলি করা হয়। কাজে গতিশীলতা ও শৃঙ্খলা আনতে এ বদলি করা হয়েছে জানিয়ে সুজন আজাদীকে বলেন, প্রতিটি সেক্টরে বদলি করা হবে। প্রকৌশল বিভাগেও বদলি করা হবে। ওয়ার্ড পর্যায়ে যে সচিব আছেন তাদেরকেও বদলি করা হবে। জনগণের সেবার পরিধি বাড়ানোর জন্য রদবদল করছি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলে দিয়েছি, যারা ভালো কাজ করবেন তাদের পুরস্কৃত করব। কিন্তু অনিয়ম করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কর্পোরেশনের কোথাও অনিয়ম ও দুর্নীতি থাকবে না। বাকি দিনগুলোতেও সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে নাগরিক সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন খোরশেদ আলম সুজন। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে শহরের ভাঙা সড়কগুলো সংস্কারে জোর দেব। এ মুহূর্তে শহরের সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক রাস্তা পোর্ট কানেকটিং রোড। সড়কটির অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য জোর দিচ্ছি। চলতি মাসের শেষে কিছুটা পরিবর্তন আসবে। তিনি বলেন, আপাতত কর্পোরেশনকে বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে কোথায় সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। কর্পোরেশনের বেহাত হওয়া সম্পত্তি উদ্ধারের কাজ শুরু করেছি। অলংকারে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে দোকান বানানো হয়েছে। স্টেশন রোডেও ফুটওভার ব্রিজের নিচে দোকান বানানো হয়েছে। সেগুলোও উচ্ছেদ করেছি। নাগরিকদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, এখন সবার হাতে মুঠোফোন। কোথাও ময়লা জমে থাকলে বা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে আমাকে কল করে জানাতে পারবেন। সাথে সাথে ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, বন্দরসহ বিভিন্ন কারণে চট্টগ্রাম শহর কানেকটিভিটির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এ শহরকে ঘিরে মহিউদ্দীন চৌধুরীর (প্রয়াত মেয়র) কিছু পরিকল্পনা ছিল। সেগুলো বাস্তবায়ন করব। সাথে আমার নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা আছে। হয়তো ছয় মাসের মধ্যে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব না। আমি শুরু করলে আমার পরে যারা আসবেন তারা শেষ করবেন। সামগ্রিকভাবে অবকাঠামোগতভাবে নগরের উন্নয়ন করতে চাই। তিনি বলেন, আগস্ট মাসে আমি কর্পোরেশনকে বোঝার চেষ্টা করছি। অক্টোবর মাস থেকে অ্যাকশনে যাব। জনদুর্ভোগের প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করব। গত নয়দিনের অভিজ্ঞতায় চসিকের প্রধান সমস্যাগুলো কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেনা, কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী টাইম।.tdi_3_b85.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_b85.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});