বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ ‘ডিসকর্ড’। বাংলাদেশেও দলভিত্তিক অনলাইন গেম খেলার সময় ভয়েস চ্যাট যোগাযোগের জন্য গেমারদের প্রথম পছন্দ ডিসকর্ড। সম্প্রতি অ্যাপটি ইনডেক্স ভেনচার থেকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছে। ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে ডিসকর্ড।
অ্যাপটি স্কাইপের মত ভিডিও কনফারেন্সে জোর না দিয়ে বরং ভয়েস চ্যাটকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে প্রথম থেকেই। ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপন রাখার বিষয়ে কিছু ফিচার থাকায় গেমারদের মধ্যে খুব অল্প সময়ে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে ডিসকর্ডের।
অন্যান্য ভয়েস চ্যাট অ্যাপের সাথে ডিসকর্ডের পার্থক্য হলো এতে আপনি যেকোনো সময় চলমান একটি কলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। কলে থাকা অন্য কোন ব্যবহারকারীর কথা শুনতে যদি আপনি আগ্রহী না হন তবে আপনি ওই ব্যবহারকারীকে মিউট করে রাখতে পারবেন। আবার আপনি নিজেকেই মিউট করে শুধু অন্যদের কথা শুনতে পারবেন। চলমান কলের ভেতর চাইলে আপনি আপনার পছন্দের গানও প্লে করে শুনতে পারবেন ও অন্যদের শোনাতে পারবেন।
ডিসকর্ডের নতুন লক্ষ্য গেমারদের বাইরেও ব্যবহারকারী তৈরি করা। করোনা মহামারীতে ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডিসকর্ডের ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৭%। বর্তমানে এর সক্রিয় ব্যবহারকারী ১০০ মিলিয়নের উপরে।
গেমারদের বাইরেও শিক্ষক, অভিভাবক, কোরিয়ান পপ সংগীতের ভক্ত, ফ্যাশনে আগ্রহী লোকজন ডিসকর্ড ব্যবহার করে থাকে। একজন গেমার যে গেমটি খেলছেন তা খুব সহজেই ডিসকর্ডের মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিম করা যায়। যা দেখতে পারছেন ব্যহারকারীর ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা অন্যান্য ব্যবহারকারীরা। সাধারণভাবে ব্যবহারকারীরা ডিসকর্ড ডাউনলোড ও ব্যবহার করতে পারেন বিনামূল্যে।