উঁচু গাছগুলোতে থাকা নারকেলগুলো নামিয়ে আনা হয় বানরকে ব্যবহার করে। প্রতিদিন অন্তত ১০০০টি নারকেল পেড়ে আনে তারা। এমন তথ্য সামনে আসার পরে শেলফ থেকে নারকেলের জল ও তেলের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে বেশ কিছু সুপারমার্কেট।
পিপল ফর এথিকাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিম্যাল (পেটা) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, থাইল্যান্ডে এসব বানরকে নারকেল পাড়ার মেশিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তারই প্রতিক্রিয়ায় ওয়েট্রস, ওকাডো, কো-অপ এবং বুটস কিছু কিছু পণ্য বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছে। একই সময়ে মরিসনও জানিয়েছে, বানরের পেড়ে আনা নারকেল দিয়ে বানানো জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলেছে তারা।
এক বিবৃতিতে ওয়েট্রস জানিয়েছে, আমাদের প্রাণী কল্যাণ নীতি অনুযায়ী, বানর শ্রমের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কোনো পণ্য বিক্রি না করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কো-অপ জানিয়েছে, খুচরা বিক্রেতা হিসেবে আমাদের কোনো পণ্যের উপাদান সংগ্রহের জন্য বানর শ্রমের অনুমতি দিবো না।
শুক্রবার এক টুইটে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বাগদত্তা ক্যারি সিমন্ড সবগুলো সুপারমার্কেটকে সেই সব পণ্য বর্জন করার আহ্বান জানান। পেটা জানিয়েছে তারা থাইল্যান্ডে এমন আটটি ফার্ম পেয়েছে যারা দেশের বাইরেও রপ্তানি কাজে ব্যবহারের জন্য নারকেল পাড়ার কাজ করায় বানরকে দিয়ে। যেখানে একজন মানুষ দিনে ৮০টি নারকেল পাড়তে পারে সেখানে বানর পারে ১০০০টি।
তারা প্রাণীদের স্কুলও আবিস্কার করেছে। যেখানে প্রাণীদের ফল পাড়া, বাইকে চড়া, বাস্কেটবল খেলা শেখানো হয় পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য। তাদের কাউকে কাউকে শিশু অবস্থাতেই অবেধভাবে আটক করা হয় এবং এই ধরনের আচরণে তাদের মধ্যে চাপ তৈরি করা হয়।
বানরগুলোকে পুরনো টায়ারের সঙ্গে শিকল বেঁধে রাখা হয় অথবা এমন ছোট কিছু খাঁচায় রাখা হয় যেখানে সে ঘুরতেও পারে না।