সংস্কার হয়নি আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২০, ০৮:৪৬

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার টিকিকাটায় একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এখনো সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

গত এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি সংস্কার না করায় স্থানীয়দের চলাচলে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। এছাড়া জোয়ারের ৩/৪ ফুট পানি হু হু করে লোকালয়ে ঢুকে বসতবাড়ি, রান্না ঘর ডুবে যাওয়ায় বর্তমানে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ৬ নম্বর টিকিকাটা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম সেনের টিকিকাটা গ্রামের টিকিকাটা সিনিয়র মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়ক ও জনপথের সংযোগ সড়কটি (এলজিইডি) আম্পানের কবলে পড়ে। ওই রাতে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে

৫/৬ ফুট পানি বৃদ্ধিতে এ সড়কের ওই মাদ্রাসা থেকে গুলিশাখালী ব্রিজ (সওজ-সড়ক) পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলজিইডির কার্পেটিং রাস্তার তিনটি স্পটে ৩শ ফুট খাল ও ফসলি জমির মাঠের সঙ্গে বিলীন হয়ে যায়।

শুক্রবার সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসীরা জানান, আম্পান পরবর্তী গত এক মাসে পূর্ণিমা ও অমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাবে নদী ও পানি খালের স্বাভাবিকের চেয়ে ৩/৪ ফুট বেড়ে প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের বসতঘর ডুবে যায়। এসময় চলাফেরা, রান্না বান্নাসহ গৃহস্থলির কাজে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক আব্দুর গফ্ফার (৫৭) জানান, গত অমাবশ্যার জোয়ারে পানি মাঠে থাকায় আমন বীজ সঠিক সময়ে রোপণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে তিনিসহ সব কৃষক চিন্তিত হয়ে পড়ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর মজিদ (৫৫) বলেন, প্রতি জোয়ারের অতিরিক্ত পানি হু হু করে লোকালয়ে ঢুকে পরায় ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে থাকে। এসময় অতিরিক্ত পানিতে ৬/৭ দিন রান্নাসহ গৃহস্থলির কাজে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার আম্পানের জলোচ্ছ্বাসে এ জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গা বিধ্বস্ত হওয়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে স্বীকার করে বলেন, ঝড় পরবর্তী ইউএনও ও উপজেলা প্রকৌশলী ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিলেও গত এক মাস অতিবাহিত হলেও সংস্কারের কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us