পণ্য আমদানিতে বন্দরে ‘প্রি-অ্যারাইভাল প্রসেসিং’ পদ্ধতি চালু
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২০, ০৩:০২
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বন্দরে আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রি-অ্যারাইভাল প্রসেসিং (পিএপি) চালু করেছে। কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯-এর ৪৩ ধারার ৫ উপধারা এবং ৪৪ ধারার ক্ষমতাবলে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিএপি চালুর ফলে বন্দরে পৌঁছার আগেই কার্গো বা পণ্যের বিস্তারিত তথ্য শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে চলে যাবে। এতে পণ্যের ছাড়পত্রের প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন হবে। ছাড়পত্র ব্যয় কমে যাবে এবং দ্রব্যমূল্যের সাশ্রয় হবে।
এদিকে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত গেজেটে আমদানি করা পণ্যের চালানের ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টো এবং পণ্যের চালান খালাসের ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাহাজ বা উড়োজাহাজ সর্বশেষ বন্দর ত্যাগের আগেই ক্যাপ্টেন/শিপিং এজেন্ট/ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এজেন্ট এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ বা তার এজেন্ট/ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক অনলাইনে ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টো দাখিল করতে হবে। আগমনী জাহাজ বা উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন/শিপিং এজেন্ট ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এজেন্ট এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ বা তার এজেন্ট/ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টো দাখিলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউজের আইজিএম শাখা কর্তৃক মাস্টার বিল অব লেডিং ও হাউজ বিল অব লেডিং/মাস্টার এয়ারওয়ে বিল ও হাউজ এয়ারওয়ে বিল সমন্বয় করে উড়োজাহাজ/জাহাজের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
ওই নিয়মের মধ্যে আরো রয়েছে উড়োজাহাজ/জাহাজের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়ার পর ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টোতে কোনো অসংগতি পাওয়া গেলে তা রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশোধনের আবেদন করতে হবে। ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক যথাযথ বিবেচিত হলে প্রযোজ্য ফি/জরিমানা আদায়সাপেক্ষে ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টো সংশোধন করা যাবে। আর উড়োজাহাজ/জাহাজের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়ার পর আমদানিকারক বা তার মনোনীত এজেন্ট বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে পারবে।
বিল অব এন্ট্রি দাখিলের পর যেসব পণ্য চালান কায়িক পরীক্ষণের জন্য মনোনীত হবে অর্থাৎ কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেমে রেড লেনে নির্বাচিত হবে, সেগুলো ব্যতীত অন্যান্য পণ্য চালান আইনানুগ পদ্ধতি পরিপালন এবং প্রয়োজনীয় দলিলাদি দাখিলসাপেক্ষে উড়োজাহাজ/জাহাজ আগমনের আগেই শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করে রাখা যাবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পণ্য চালান খালাসের সময় নমুনা পরীক্ষা করে যথার্থতা নিশ্চিত করা যাবে। তবে এর মধ্যে কোনো পণ্য চালানের বিষয়ে গোপন সংবাদ থাকলে তা আগমনের পর প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থার উপস্থিতিতে বিদ্যমান আইনানুগ পদ্ধতিতে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা যাবে।এদিকে দাখিল করা ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টো সংশোধনে কিছু নিয়ম রয়েছে।
তা হলো ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টো উল্লেখ করা আমদানিকারক এবং সংশোধনীর মাধ্যমে যে আমদানিকারকের নাম অন্তর্ভুক্ত হবে, উভয়ের ক্ষেত্রে পণ্য চালান ছাড়করণের স্থগিতাদেশ বা কাস্টম অ্যাক্ট ১৯৬৯-এর ২০২ ধারা অনুসারে কোনো কার্যক্রম চলমান নেই মর্মে নিশ্চিত হতে হবে। এছাড়া ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টো উল্লিখিত আমদানিকারকের অনাপত্তিপত্র ও সংশোধনীর মাধ্যমে যে আমদানিকারকের নাম অন্তর্ভুক্ত হবে তার সম্মতিপত্র থাকতে হবে।