ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে ব্যবহার করছেন ডিওডোরেন্ট। তবে খেয়াল করলেন সেটা ঠিক মতো কাজ করছে না। ভাবছেন জিনিসটা ভালো না। অথচ দোষ হয়ত ব্যবহারের ভুল।
“সাধারণত ঘামের কোনো গন্ধ হয় না” এই তথ্য জানিয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সুগন্ধি তৈরির প্রতিষ্ঠান ‘লাভ্যানিলা’র প্রতিষ্ঠাতা ড্যানিয়েল রেনর বলেন, “দেহ ঠাণ্ডা রাখার প্রক্রিয়া হল ঘাম হওয়া। এই গন্ধহীন ঘাম যখন ত্বকের ব্যাক্টেরিয়ার সাথে মিশ্রিত হয় তখনই গন্ধ তৈরি হয়।”
একই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্যান ডিওডোরেন্ট’ প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র ডা. জিনোভিয়া বলেন, “ত্বকের ব্যাক্টেরিয়ার পরিবর্তন হলে গন্ধেরও পরিবর্তন হয়। ফলে আগে যে ডিওডোরেন্ট’টা কাজ করতো, সেটা হয়ত বর্তমানে কাজ করবে না।”
এছাড়াও আরও কিছু কারণ রয়েছে ডিওডোরেন্ট কাজ না করার।
ভেজা বাহুমূলে ব্যবহার
তাড়াহুড়া বা ব্যস্ততার কারণে গোসল করেই বাসা থেকে বের হওয়া আগে ভেজা বগলে ডিওডোরেন্ট মাখলে কাজ হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফ্রিডম ডিওডোরেন্ট’ তৈরি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাগানোভস্কি গ্রিন বলেন, “পানি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। যে কারণে ত্বকের ভেতর ডিওডোরেন্ট ঢুকতে পারে না। ফলে অল্প সময় পরেই দেহে ঘামের গন্ধ তৈরি হয়।”
তাই সবসময় দেহ ভালো মতো শুকিয়ে ডিওডোরেন্ট স্প্রে বা রোলঅন মাখতে হবে।
সঠিক পন্থায় ব্যবহার না করা
ডিওডোরেন্ট অল্প ব্যবহার করলেই হয়।
গ্রিন বলেন, “খুব বেশি হলে দুতিনবার ঘষলেই হবে। এরচেয়ে বেশি মাখলেই কাপড়ে লেগে যাওয়া সম্ভাবনাই বাড়বে।”
মাখার পর হাত সামনে পেছনে কয়েকবার নাড়াচাড়া করতে হবে। এতে পুরো জায়গায় ভালো মতো মাখা হবে, আর ঘর্ষণের ফলে উষ্ণতা তৈরি হওয়াতে ডিওডোরেন্ট’য়ের তরল ভালো মতো গলে ত্বকে প্রবেশ করবে।