ভৌতিক আমেজ, রহস্যের হাতছানির মিশেলে সদ্য মুক্তি পেয়েছে বুলবুল। সিনেমায় দুষ্টের দমন করতে এক অনন্য চরিত্রের নাম বুলবুল। এক অলৌকিক শক্তির নারীকে উপস্থাপন করা হয়েছে সিনেমায়। বাল্যবিবাহ, জমিদার প্রথা ও রাজবাড়ির অন্দরমহলের রহস্য, ডাইনিবাদ- এই সিনেমায় সব রকম উপকরণ মজুদ রয়েছে। গল্পের প্রেক্ষাপট ১৮৮১ সাল।
ছোট্ট বুলবুল, যে কিনা নূপুরের শব্দ নিয়ে আমের বনে, বাগানে-বাগানে ঘুরে বেড়াত, তার বিয়ে হয় এক রাজবাড়িতে। বাপের বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে চলে আসতে হয় তাকে। সেই সময়েই শৈশবে তার হাসি-কান্না-ভয়-খিদে- সব কিছুর সঙ্গী হয়ে ওঠে, তারই বয়সী দেবর সত্য। স্বামীর থেকেও তার কাছে দেবর সত্যই প্রিয়। কিন্তু ওই, উপায় নেই! মুখ বুজে স্বামীর সঙ্গে ঘর-সংসার তো করতে হবে! বয়সে বড়, কিন্তু সম্পর্কে ছোট জা বিনোদিনী (পাওলি দাম) বুলবুলের স্বামীর কানপড়া দিয়ে দেবর সত্যকে উকিল বানানোর জন্য বিলাতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এদিকে বিরহিণী রাধার মতো কাতরাতে থাকে বুলবুল। স্ত্রীর ওপর ‘জোর’ খাটায় বুলবুলের স্বামী, যাকে কিনা সে আদর করে শ্বশুরঘরে পা রাখা থেকেই ‘ঠাকুরমশাই’ বলে ডাকত।
স্ত্রীকে মারধর, ক্ষত-বিক্ষত করার পর রাগে সে নিজেই বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এদিকে দাদার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বুলবুলকে ধর্ষণ করে তার মানসিক ভারসাম্যহীন আরেক দেবর। তারপর? এখানেই গল্পের মোড়। 'নারীপ্রধান গল্প' কিংবা ‘উইম্যান এমপাওয়ারমেন্ট’-এর ভাষা রয়েছে ‘বুলবুল’-এ। তবে রহস্য-রোমাঞ্চের মোড়কে। মূল চরিত্রে অর্থাৎ বুলবুলের ভূমিকায় তৃপ্তি দিমরি বেশ ভালো। ডাক্তার বন্ধুর চরিত্রে পরমব্রতও নিজস্ব স্বাক্ষর রেখেছেন। গল্পের প্রয়োজনে পার্শ্বচরিত্র হয়েও তাঁর উপস্থিতি বেশ উজ্জ্বল। তবে উল্লেখ্য, সিনেমায় পাওলি দামের ‘শেডি’ চরিত্র বেশ মন কাড়ে।