বর্তমানে বিদ্যমান উৎসে কর দশমিক ২৫ শতাংশ আরও পাঁচ বছর বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন হয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই দাবি জানায় সংগঠনটি। ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানিমূখী পোশাক শিল্পের উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ প্রস্তাব করেছে সরকার। এদিকে ঢাকা চেম্বার অব কামর্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উৎসে কর শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশের পরিবর্তে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে সব রপ্তানিমুখী শিল্প।
রপ্তানি আয়ের ওপর উৎসে কর পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানাইয় তারা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক খাতের উৎসে কর ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হইয়েছিল। অর্থাৎ কোনো গার্মেন্টস মালিক ১০০ টাকার তৈরি পোশাক রপ্তানি করলে তার বিপরীতে এক টাকা উৎসে কর দেওয়ার কথা। কিন্তু পোশাক কারখানা মালিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের ২১ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা কমিয়ে দশমিক ২৫ শতাংশ করে।
প্রস্তাবিত নতুন বাজেটে উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের চেয়ে এটি দশমিক ৫০ শতাংশ কম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাজেটে প্রস্তাবিত ১ শতাংশ হারে উৎসে কর কখনো দিতে হয়নি পোশাক মালিকদের। প্রতিবার বাজেটে অথবা পরে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কর কমানো রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।