বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের জন্য স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অন্যতম নাঈম শেখ। তামিম-লিটনদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় দলে লম্বা সময় ধরে খেলে যেতে চাওয়া এই বাঁহাতি ওপেনার।
রোববার (০৭ জুন) বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেন নাঈম শেখ। জানিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কিছু কথা। ২০ বছর বয়সী নাঈমের ভাবনায় এখন শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেট। তার ইচ্ছা আছে সাকিব-তামিমদের ছাড়িয়ে যাওয়ার।
ক্রিকেটে আসা কিভাবে এমন প্রশ্নে নাঈম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ ছিল, পাড়ায় ক্রিকেট খেলতাম। জেএসসি পরীক্ষার পর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। ভালো রেজাল্ট হয়নি। কোনো রকম পাস করছিলাম। এইচএসসি পরীক্ষাতেও রেজাল্ট খারাপ করেছিলাম। খারাপ করেছিলাম একটা সাবজেক্টে। ক্রিকেট খেলছি, পড়াশুনা করছি।
সত্যি কথা, ক্রিকেটের জন্য রেজাল্টটা খারাপ হয়ে গেছে। তখন থেকেই মনে একটা জেদ ছিল, ভালো কিছু করতে হবে। ঐ সময় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য অনুর্ধ্ব-১৮ দলকে দুইটা ভাগে ভাগ করে খেলিয়েছিল। লাল দল, সবুজ দল। সেখানে ভালো করার পরই অনূর্ধ্ব-১৯ মূল দলে জায়গা পেয়েছি। এরপরই ধীরে ধীরে টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছি।’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অবশ্য নাঈমের শুরুটা ভিন্নভাবে। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে দলে নিয়েছিলো লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। পরে দলে যোগ দেওয়ার পর এক সমস্যার কথা জানতে পারেন নাঈম। পরে অবশ্য মুশফিকের সহযোগিতায় খেলার সুযোগ পান তিনি।
নাঈম বলেন, ‘বিশ্বকাপ (অনূর্ধ্ব-১৯) চলার সময় ডিপিএলের প্লেয়ার ড্রাফট হয়েছিল। তখন দল পেয়েছিলাম। সুযোগ পেয়েছিলাম লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে খেলার। কিন্তু তাদের একটা অফস্পিনার দরকার ছিল। তখন নাঈম হাসান আমাদের সঙ্গে খেলতো। নাঈম হাসানকে নিতে গিয়ে ভুলে আমাকে পিক করছিল তারা। দলে যোগ দেওয়ার পর তারা বুঝতে পারে, আমি বাঁহাতি ওপেনার। তখন আমি খুব আপসেট ছিলাম এই ভেবে যে, এখন এই টিমে বসে থাকতে হবে। তখন মুশফিক ভাই আমাদের দলে ছিলেন। নিদাহাস ট্রফি খেলে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমি কয়টা ম্যাচ খেলেছি, কি রকম করেছি। তো মুশফিক ভাই আমাকে আগে থেকে অনেক সাহায্য করতেন, আমাকে পছন্দ করতেন। এরপরই চার নম্বর ম্যাচে আমাকে খেলানো হয়।