অন্যের খাবার পৌঁছে নিজের খিদা মেটাচ্ছেন তিনি

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২০, ১৮:৩০

এই দেশে খোঁজ নিলেও হয়তো রিও মিয়াকির মতো কাউকে পাওয়া যাবে।

করোনা মহামারির মধ্যে খেলাধুলা তো বটেই দৈনন্দিন কাজ-কর্মও বন্ধ। দেশের পেশাদার ক্রীড়াবিদদের দিনগুলো তাই মোটেই ভালো কাটার কথা নয়। মফস্বল শহরে খোঁজ নিলে হয়তো জানা যাবে, ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে নিজের খেলাধুলার সরঞ্জাম বেচে জীবন নির্বাহের কিছু একটা জুটিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় কেউ।

মিয়াকি জাপানে যেন-তেন কেউ নন। তিনি অলিম্পিক ফেন্সার, পদক জিতেছেন লন্ডন অলিম্পিকে। করোনার জন্য স্থগিত হয়েছে এ বছর টোকিও অলিম্পিক। অনুশীলন থেকে শুরু করে প্রায় সব কিছুই বন্ধ। কাজ-কর্ম কিছু করে তো খেতে হবে! ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে মিয়াকি তাই বেছে নিয়েছেন অভিনব এক পথ।

মিয়াকি সাইকেলে করে অন্যের বাসায় পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার। ফেন্সিংয়ের জন্য নিজের ধাতব মুখোশ ও তলোয়ারের (ফয়েল) বিনিময়ে একটি সাইকেল জোগাড় করেছেন তিনি। অ্যাপসভিত্তিক খাবার সরবরাহ প্রতিষ্ঠান টোকিও উবারইটস-এ নাম লিখিয়েছেন ডেলিভারিম্যান হিসেবে।

২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে দলগত ফয়েল ইভেন্টে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন মিয়াকি। এবার ঘরের মাঠে অলিম্পিকে সোনা জিততে মুখিয়ে ছিলেন ২৯ বছর বয়সী ফেন্সার। কিন্তু সব গুবলেট করে দিল করোনাভাইরাস। এই সংকটকালীন সময়ে মিয়াকি কিন্তু নিজের নতুন পেশায় অখুশি নন। অনুশীলন বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন শারীরিক কসরত হচ্ছে, তেমনি টাকা উপার্জন করে নিজেও দুটো খেয়েপরে বাঁচতে পারছেন।

সংবাদসংস্থা এএফপিকে মিয়াকি বলেন, 'দুটো কারণে এই কাজ বেছে নিয়েছি। ভবিষ্যতে নানা সফর আছে। সেজন্য খরচ আছে এবং নিজেকেও চলতে হবে। আর শারীরিকভাবে নিজেকে ফিট রাখা। কত টাকা ‍উপার্জন করছি তা ফোনে দেখি। সংখ্যাগুলো আমার কাছে শুধুই টাকা নয়। আরও এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।'

জাপানের সংবাদমাধ্যমগুলো মিয়াকিকে ‍উপস্থাপন করেছে গরীব অপেশাদার হিসেবে। যদিও তাঁর তিনটি কর্পোরেট স্পন্সরশিপ রয়েছে। এই সংকটের মুহূর্তে স্পনসরদের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়াটা অন্যায় মনে হয়েছে মিয়াকির, তাই নিজেই আয় করতে নেমেছেন। জাপানের এই ফেন্সার নিজের জন্য নিজেই লড়ছেন। দিনে ২০০০ হাজার ইয়েন বা ১৮ ডলারের একটু বেশি আয় করতে পারছেন তাঁর নতুন পেশায়।

মিয়াকি কবে অনুশীলন ‍শুরু করতে পারবেন জানেন না। উবারে দূরবর্তী কোনো জায়গা থেকে অর্ডার এলে খুশি হন তিনি, 'হিলি আকাসাকা বা রোপোঙ্গি থেকে অর্ডার এলে বেশ ভালো (ফিটনেস ঠিক রাখার) অনুশীলন হয়।' গত বছর বিশ্ব ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ১৩তম হন মিয়াকি। এ প্রতিযোগিতায় জাপানের ফেন্সারদের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিং।

মিয়াকির মতে, 'জীবন বাঁচানো সমস্যা হয়ে দাঁড়ালে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি পরে প্রাধান্য পায়। খেলা না থাকলে আমি কীভাবে বাঁচব? এটা নিয়ে ভাবছিলাম। ফেন্সিং ভালোবাসি। বাড়ির দেয়ালকে কল্পিত প্রতিপক্ষ বানিয়ে অনুশীলন করি। সামনে খেলা শুরু হলে নানা জায়গায় ভ্রমণের খরচ আছে। সেজন্যই (টাকা জমাতে) এটা করছি।'
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us