করোনা পরিস্থিতিতে নিদারুণ কষ্টে সময় পার করছেন শিক্ষিত বেকার যুবকরা। শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরি না পেয়ে টিউশনি বা পার্টটাইম চাকরি করে আগে কোনোমতে চললেও এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় ১৫ লাখ বেকার দেশের এমন পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাদের জন্য নেই কোনো ত্রাণ বরাদ্দ। আবার কারো কাছে হাত পাততেও পারছেন না তারা। তাই অর্ধাহারে-অনাহারে দিন পার করছেন অনেক শিক্ষিত বেকার। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার একাধিক শিক্ষিত বেকার যুবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষাজীবন শেষ করে অনেক কষ্ট করেও সরকারি চাকরির সুযোগ পাননি। অনেকে সেশনজটের কবলে জীবনের মূল্যবান চার থেকে পাঁচ বছর সময় হারিয়েছেন। এ কারণে সরকারি চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অনেকে। তাই টিউশনি করে বা কেউ পার্টটাইম চাকরি করে কষ্টে দিন পার করতেন তারা। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হয়েছে তাদের অনেককেই। তারা জানান, এখন চাকরি কিংবা টিউশনি কিছুই নেই। পরিবার থেকে অনেক টাকা ব্যয় করে পড়ালেখা করানোর কারণে এখন আর বাবা-মায়ের কাছে হাত পেতে কিছু নেয়া সম্ভব নয়, সেই দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে করোনার কারণে ঘরবন্দী হয়ে খেয়ে না খেয়ে অনেকে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের জন্য কেউ ত্রাণ বরাদ্দ দিচ্ছেন না, লজ্জায় কারও কাছে হাত পেতে চাইতেও পারছেন না তারা। নেত্রকোনা সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স পাশ করেছেন উজ্জল কুমার সরকার। সেশনজট তার জীবনের প্রায় পাঁচ বছর সময় কেড়ে নিয়েছে।