ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলায় চলমান লকডাউন ভেঙে জেলার নবীনগর উপজেলায় কয়েকশ মানুষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। রোববার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে থেমে থেমে কয়েক দফায় দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষ চলে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের একজনের পা কেটে হাতে নিয়ে আনন্দ মিছিলও করেছে অপর একটি পক্ষ। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান সঙ্গে থানাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা কাউসার মোল্লার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চলা এ বিরোধের জেরে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। থেমে থেমে চলা এ সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের পক্ষের মোবারক মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তির পা কেটে নিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করে বিরোধী পক্ষের কাউছার মোল্লার লোকজন। ওই মিছিল থেকে পায়ের বদলে মাথা কেটে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত সাতটি ঘর-বাড়ি হামলা, ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।