নরসিংদী: নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া চৌধুরী। পাশাপাশি গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা তার। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব কিছুর আড়ালে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন অপরাধের সাম্রাজ্য। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচ তারকা হোটেলে সুন্দরী নারীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্টদের। জড়িয়ে পড়েন অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন অপরাধ সাম্রাজ্যের রানি। সেই সাম্রাজ্যে তিনি পরিচিত ‘পিউ’ নামে। সরেজমিনে পাপিয়ার বাড়ির আশপাশের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাপিয়া একজন অটো গ্যারেজের মালিকের মেয়ে। এক সময় তাদের তেমন কিছুই ছিল না। গত পাঁচ বছরে বিপুল অর্থবিত্ত হাতিয়ে রাতারাতি বনে গেছেন শত কোটি টাকার মালিক। গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাট- কি নেই তার। দেশে গাড়ির ব্যবসার পাশাপাশি বিদেশে দিয়েছেন বারও। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে আটক করে র্যাব-১। আটকদের মধ্যে পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮) ছাড়াও আছেন সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। এসময় তাদের কাছে বিপুল অর্থও পাওয়া যায়। পরে অসামাজিক কার্যকলাপ ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে পাপিয়াকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগ।