বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতার নামে দেশ থেকে পাচার ২৬ হাজার কোটি টাকা: টিআইবি
প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:৩৭
বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতার নামে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ২৬ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। কম করে ধরলেও বাংলাদেশে আড়াই লাখ বিদেশি কর্মী কাজ করেন। এর মধ্যে পর্যটক ভিসায় এসে কাজ করেন ১ লাখ ৬০ হাজার কর্মী। এসব বিদেশ কর্মী প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়।আজ বুধবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে বিদেশিদের কর্মসংস্থান: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে ধানমন্ডির টিআইবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন টিআইবির কর্মসূচি ব্যবস্থাপক মনজুর ই খোদা। টিআইবি বলছে, এ দেশে কোনো প্রতিষ্ঠানে বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে গেলে জনপ্রতি নিয়মবহির্ভূতভাবে ২৩ থেকে ৩৪ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। বৈধভাবে বিদেশি কর্মী আনা হলে আটটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। অবৈধভাবে বিদেশি কর্মী আনা হলে তিন ধাপেই নিয়োগ চক্র শেষ হয়। বেশির ভাগই পর্যটক ভিসায় এসে এ দেশে কাজ করেন। সব মিলিয়ে আট ধরনের কাগজপত্র ঠিক করতে এই নিয়মবহির্ভূত আর্থিক লেনদেন করতে হয়। ভিসার সুপারিশপত্র, বিদেশে বাংলাদেশ মিশন থেকে ভিসা সংগ্রহ, বিদেশি নাগরিক নিবন্ধন, কর্ম অনুমতির জন্য আবেদন, নিরাপত্তা ছাড়পত্র (এসবি পুলিশ), নিরাপত্তা ছাড়পত্র (জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা), নিরাপত্তা ছাড়পত্র (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) এবং ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি—এই আট ধরনের কাগজপত্র প্রক্রিয়া করতে ঘুষ দিতে হয়।