দেশে ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস ও মিনিবাস থেকে বছরে ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এই চাঁদার ভাগ যায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তা-কর্মচারী, ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশ, মালিক-শ্রমিক সংগঠন ও পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পকেটে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে ‘ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’ শীর্ষক ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। সংস্থাটির গবেষক মুহা. নূরুজ্জামান ফারহাদ, ফারহানা রহমান ও মোহাম্মদ নূরে আলম গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
২০২৩ সালের মে মাস থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩২টি জেলার বাসকর্মী, শ্রমিক, মালিক ও যাত্রীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রস্তুত করে টিআইবি। গবেষণায় ৩২ জেলার ৫১টি বাস টার্মিনাল পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। ৬৯৬ জন যাত্রী, ৭০১ জন বাসকর্মী ও ১৬৮ জন বাসমালিকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।