আয়েশ করে বসে লম্বা যাত্রার প্রস্তুতি নিলেন।নিজের ব্যাগটি জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করলেন। মধ্যরাতের লন্ডনের চেনা ঘ্রাণ পিছে ফেলে বাসটি যখন এগিয়ে যাচ্ছিলো সানি তখন ধীরে ধীরে তার অতীতে ফিরে গেলেন। নাইজেরিয়ার এক কারাগারে তরুণ বয়সের নিজেকে দেখতে পেলেন তিনি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় কারাগারের ঠাণ্ডা চার দেয়ালের মধ্যে বসে হাঁটু মুড়ে প্রার্থনা করছিলেন। তার অন্যায়, গণতন্ত্রের জন্য লড়েছিলেন তিনি। হঠাৎ একজন নিরাপত্তারক্ষী এসে টেনে তুলল। ছবির কপিরাইট Venetia Menzies Image caption সানির বাসে চড়ার পাস। খুব দ্রুত তাকে কারাগারের নীরব করিডোর ধরে নিয়ে গেলো বাইরে। সূর্যের কড়া আলোয় শুরুতে সানির চোখ ধাঁধিয়ে উঠলো। বাইরে তার জন্য একটি গাড়ি অপেক্ষা করছিল। তার পরিবার কারাগারের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে লন্ডনগামী একটি ফ্লাইটের বিমানবালা সহ বহু লোককে অর্থ দিয়ে তার বিনিময়ে তার মুক্তি কিনে এনেছে।ঘুমের রাজ্য থেকে হঠাৎ ঝাঁকি দিয়ে উঠলো সানির শরীর। মাতাল কয়েকজন যাত্রীর বেসুরো গান শুনে সে ফিরে এল বর্তমানের লন্ডনে। আরো পড়ুন:ব্রিটেনের ভেতরে রয়েছে আট লাখ অবৈধ অভিবাসী?ব্রিটেনে আশ্রয় চায় কত মানুষ?প্রায় প্রতি রাতের অভিজ্ঞতা এটি। রাত তখন তিন অথবা চার বাজে। সানি প্রায়ই বাসে তিন ধরনের মানুষ দেখতে পায়। সে আঁচ করতে পারে এদের একটি গোষ্ঠী পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন।