স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে, আছে রোগীও শুধু চিকিৎসার জন্য নেই কোনো ডাক্তার। এমন একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দেখা মিলেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে। উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের সুলতানাবাদ এলাকার চালিতাবুনিয়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এ বেহাল দশা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নেই কোনো চিকিৎসক। ওই এলাকার অসহায় রোগীদের দেখার কেউ নেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দরজায় ঝুলছে তালা। চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত ইউনিয়নবাসী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসক সংকট থাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির একমাত্র মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। তার পরিবর্তে কোনো ডাক্তার দেয়া হয়নি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এ ছাড়াও মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট পদটিও রয়েছে শূন্য। একজন পিওন দিয়ে চলছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ডাক্তার বা কোনো কর্মকর্তা না থাকায় তিনিও অনুপস্থিত থাকেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নের ভয়াং, সুলতানাবাদ, মজিদবাড়িয়া ও চালিতাবুনিয়াসহ কয়েকটি গ্রামের হাজারও মানুষ। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নারী, বৃদ্ধসহ শিশুদের। সরজমিন দেখা গেছে, কোনো ডাক্তার বা কর্মচারী না থাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি রয়েছে তালাবদ্ধ। দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ডাক্তারের দেখা না পেয়ে হতাশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন বাড়িতে। চিকিৎসা নিতে আসা সুলতানাবাদ গ্রামের রানী বেগম বলেন, এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে কোনো ডাক্তার আসে না। চিকিৎসা নিতে এসে আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে ছুটে যেতে হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজার ফোনে জানান, চিকিৎসক সংকটের জন্য ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার মেহেদী হাসানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে চিকিৎসক পাওয়া যাবে।