মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান না দিতে পঞ্চগড়ে মুক্তিযোদ্ধার আবেদন
প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
ছেলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী পদে চাকরি না হওয়ায় মনের দুঃখে এক মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান না দিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন। দুই বছর আগের এক নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি না হওয়ার পাশাপাশি এ নিয়ে আদালতে দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও চাপের কারণে গত বৃহষ্পতিবার আটোয়ারী উপজেলার কাটালী মীরপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সলিমউদ্দীন জেলা প্রশাসক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রশাসক বরাবরে ওই লিখিত আবেদন করেন। আবেদনে মুক্তিযোদ্ধা সলিমউদ্দীন বলেন, আটোয়ারী উপজেলায় ১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় তার ছেলে সাহিবুল ইসলাম আবেদন করেন। কিন্তু ওই নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধার কোটা না মেনে নিয়োগ কমিটি অন্য এক প্রার্থীকে নিয়োগ দেন। পরে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে নিয়োগ কমিটির সভাপতি আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় সাদেকুল ইসলাম ও তার লোকজন মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে তাকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে দাবি করে নিয়োগে অনিয়মের বিচার না হলে মৃত্যুর পর তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিতে নিষেধ করেন। আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ হাসান বলেন, নিয়োগের বিষয়টি দুই বছর আগের। নিয়ম মেনেই সবকিছু করা হয়েছে। মামলাটিও যথানিয়মে চলমান। এছাড়া এই নিয়োগের একটি স্কুলে ওই এলাকার একজনকেই নিয়োগ দিতে হবে। এজন্য এখানে নিয়ম অনুযায়ী কোন প্রকার কোটা মেনে নিয়োগ দানের সুযোগ ছিল না। জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ছেলের চাকরি হয়নি বলে একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, অনিয়মের বিষয়টি বিচার না হলে তিনি মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান চান না। চাকরির বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।