যুবলীগ চেয়ারম্যানসহ বিতর্কিতদের গণভবনে না যাওয়ার নির্দেশ!

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ১০:০৫

গণভবনে যুবলীগের বৈঠকে বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে না রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুবলীগের একাধিক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্রগুলো বলছে, ২৩ তারিখের সম্মেলনের ব্যাপারে দিক-নির্দেশনা নিতে আগামী ২০ তারিখ বিকেল ৫টায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন যুবলীগের শীর্ষ নেতারা। তবে শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী, সংগঠনের বিতর্কিত নেতাদের ওই বৈঠকে উপস্থিতি না থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পদ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগের কারণে  খোদ যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।সূত্র জানিয়েছে, ২০শে অক্টোবর গণভবনে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে কারা উপস্থিত থাকবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল বৈঠকে বসেছিলেন যুবলীগের শীর্ষ নেতারা। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যুবলীগের যাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের ২০শে অক্টোবরের বৈঠক থেকে বাদ  দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যুবলীগের  য়োরম্যান ছাড়াও সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হওয়ায় তাকেও  বৈঠক থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে যুবলীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, চেয়ারম্যান যেহেতু অনেক দিন ধরে নিষ্ক্রিয়, তাই তিনি সম্ভবত গণভবনে যাবেন না। এর চেয়ে বেশি আমি আর কিছু বলতে পারব না।এর আগে, সর্বশেষ ২০১২ সালে যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে যুবলীগ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান ওমর ফারুক চৌধুরী। এরপর পদভেদে ১০ লাখ  থেকে শুরু করে ৬০-৭০ লাখ টাকার বিনিময়ে তিনি অনেককে পদ-পদবি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গণভবনের বৈঠক শুধু নয়, এর আগে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর  বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে ওমর ফারুক চৌধুরীকে ছাড়াই। এদিকে, তার ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। শুধু তাই নয়, তার দেশত্যাগেও ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।জানা গেছে, যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানকে দিয়ে সব টাকা সংগ্রহ করা হতো। অভিযানের মুখে সেই আনিসের এখন হদিস মিলছে না। এর মধ্যে আনিসকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। অন্যদিকে, যারা টাকার বিনিময়ে পদ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তাদের অনেকের বিরুদ্ধে পরে অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার প্রমাণ পেয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।গত ১৪ই সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ‘মনস্টার’ সম্বোধন করে তাদের পদ থেকে বাদ দেয়ার নির্দেশ  দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সভায় যুবলীগের কিছু নেতার কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us