শাকুর মজিদ
লেখক, নাট্যকার
শাকুর মজিদ পেশায় স্থপতি, নেশায় লেখক-নাট্যকার-আলোকচিত্রী-চলচ্চিত্র নির্মাতা। জন্ম ১৯৬৫ সালের ২২ নভেম্বর, সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানার মাথিউরা গ্রামে। পড়াশুনা করেছেন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। লেখেন, ছবি তোলেন,নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র। টেলিভিশনে নাটক-টেলিফিল্ম লিখেছেন ৯টি, নিজে পরিচালনা করেছেন ৫টি। শ্রেষ্ঠ নাট্যকার ও পরিচালক হিসেবে এ পর্যন্ত ২১টি পুরস্কার পেয়েছেন।
কুড়ি বছর বয়সে সিলেট বেতারে তার লেখা নাটক ‘যে যাহা করোরে বান্দা আপনার লাগিয়া’ প্রথম (১৯৮৫) প্রচার হয় । লন্ডনী কইন্যা, নাইওরী, বৈরাতী, করিমুন নেছা, চেরাগসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন-নাটক ও টেলিফিল্মের রচয়িতা তিনি। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩২, বেশীরভাগই ভ্রমণকাহিনি, স্মৃতিচারণ ও আত্মজৈবনিক গ্রন্থ।
এ পর্যন্ত প্রায় ত্রিশটি দেশ ভ্রমণ করেছেন। এসব ভ্রমণ- অভিজ্ঞতাকে প্রামাণ্যরূপ দিতে ‘পৃথিবীর পথে পথে’, ‘ভুবন ভ্রমিয়া শেষে’, ‘ইতিহাসের শহর’, ‘দূরদেশ’, ‘দূরে কোথাও’, ‘মসজিদের ইতিকথা’, ‘আমাদের এই বসুন্ধরা, প্রভৃতি শিরোনামে বিভিন্ন টেলিভিশন থেকে প্রায় দেড়শটির মতো প্রামাণ্যচিত্র প্রচার হয়েছে, প্রকাশ হয়েছে বারোটি ভ্রমণকাহিনী। মঞ্চের জন্যে প্রথম নাটক লিখেছেন ‘মহাজনের নাও’।
এছাড়া মঞ্চনাটকের আলোকচিত্র নিয়ে ২০০৩ সালে প্রকাশ হয়েছে ফটোগ্রাফি অ্যালবাম ‘রিদম অন দ্যা স্টেজ’। তার অন্য দুটি প্রকাশিত গ্রন্থ ‘রীতা ও দুঃসময়ের গল্পগুলো’ এবং আত্মজৈবনিক উপাখ্যান ‘ক্লাস সেভেন ১৯৭৮’।
আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ ভ্রমণে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৭ পেয়েছেন শাকুর মজিদ। এছাড়াও ১৯৯০ সালে ইউনিসেফ আয়োজিত মেয়ে শিশু বিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় ও খেলাঘর আয়োজিত বাংলাদেশের শিশু বিষয়ক আলোকচিত্র পুরস্কার। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির আলোকচিত্র পুরস্কার ও নিউইয়র্কের লেন্সভিউ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির পুরস্কার। ২০০৬ সালে কলকাতার রেনেসাঁ বাংলা পদক। ২০১৭ সালে ফেরাউনের গ্রাম বইয়ের জন্য ‘আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬’ পেয়েছেন তিনি।
১৯৯২ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হন শাকুর মজিদ। ১৯৯৩ সালে তিনি আরও দুজন স্থপতিকে নিয়ে ট্রায়াঙ্গেল কনসাল্ট্যান্ট নামে একটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ফার্মটি এখনো বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া তিনি ট্রাই-স্পেস লিমিটেড, ব্রিটানিয়া প্রপার্টিজ লিমিটেড, ভিউ ফাইন্ডারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০৪ সাল থেকে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক।
Join Priyo to discover more contents
আরো কন্টেন্ট দেখতে প্রিয়তে যোগ দিন