খন্দকার হাসান শাহরিয়ার
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী
হাসান শাহরিয়ারের পুরো নাম খন্দকার হাসান শাহরিয়ার দীপু। তিনি ১৯৮৫ সালের ১লা জানুয়ারি খুলনা শিশু হাসপাতালে জন্মগ্রহন করেন। বাবা মৃত খন্দকার আব্দুস শুকুর ও মা মৃত খন্দকার লুৎফুন নেছার ২ সন্তানের মধ্যে তিনি ছোট। বড় বোন খন্দকার নীলুফার শারমীন পেশায় প্রকৌশলী। তিনি অস্ট্রোলিয়া প্রবাসী।
২০০৮ সালের পহেলা জানুয়ারী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন হাসান শাহরিয়ার। সহধর্মিনী ইমন ফারজানা পেশায় শিক্ষক। আদ্ব-দ্বীন মহিলা মেডিক্যাল কলেজ ও ফাতেমা নার্সিং ইন্সিটিটিউটের ইংরেজী বিভাগের সিনিয়র লেকচারার। দাম্পত্য জীবনে তাদের আরেক সদস্য হচ্ছে একমাত্র কণ্যা খন্দকার আয়েশা শাহরিয়ার আনিকা। সে মগবাজার গার্লস স্কুলের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী।
হাসান শাহরিয়ার বয়সের সাথে সাথে পেশার স্বপ্নো বদলেছেন কয়েকবার। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল পাইলট হবো। ক্লাস এইটে পড়ার সময় ভাবতাম চিকিৎসক হবো। কলেজে উঠে ভাবলাম হবো প্রকৌশলী। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে হয়ে গেলাম আইনজীবী। তবে সাংবাদিকতা বিষয়টি আমার রক্তের সাথে মিশে আছে। সেই যে ১৯৯৪ সালে স্কুলে পড়ার সময় জুইপা নামক কিশোর পত্রিকা থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল আজও ছাড়তে পারিনি।
পড়াশোনা
খন্দকার হাসান শাহরিয়ার ১৯৯৯ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করে ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। একই সাথে ২০০৪ সালে শেখ বোরহানউদ্দিন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ২০০৯ সালে ইস্টার্ণ ইউনিভার্সিটি থেকে এলএল.বি (অনার্স), ২০১০ সালে প্রাইম ইউনিভার্সিটি থেকে এলএল.এম, ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিজিডি ইন জেনোসাইড স্টাডিজ সম্পন্ন করেন। তিনি বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিজিডি ইন জানালিজমে অধ্যয়নরত।
এছাড়াও ২০০১ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অধ্যয়ন কেন্দ্র থেকে প্রথম শ্রেণীতে চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং ২০১৬ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রথম ব্যাচে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের কোর্স সম্পন্ন করেছেন।
কর্মজীবন
খন্দকার হাসান শাহরিয়ার ১৯৯৪ সালে শিশু কিশোর পত্রিকা জুঁইপার মাধ্যমে লেখালেখির জগতে পদার্পণ করেন। ১৯৯৮-১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে শিশু কিশোর পত্রিকা কিশোরভুবনে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়। ইতিমধ্যেই ছোটদের কাগজ,কিশোর পত্রিকা,রহস্য পত্রিকা,মাসিক মদীনা,সাপ্তাহিক মুসলিম জাহান,দৈনিক প্রথম আলো,সি-নিউজ,ই-বিজসহ অসংখ্য দেশী-বিদেশী জাতীয় পত্র-পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি মাসিক কারেন্ট নিউজ এর বিভাগীয় পরিচালক এবং দৈনিক ইত্তেসাল, দৈনিক রূপসী গ্রাম, সাপ্তাহিক চলতিপত্র, পাক্ষিক কিংবদন্তী, পাক্ষিক মেহেদী, মাসিক শিক্ষাবিচিত্রা, ডিজিটাল ম্যাগাজিন আইটিকম এর রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
হাসান শাহরিয়ার পর পর দুইবার বাংলাদেশ কোম্পানী ল প্র্যাকটিশনাস সোসাইটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি ঢাকা ট্যাকসেস বার এসোসিয়েশনের আইসিটি ও পিকনিক কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের সদস্য।
অর্জন
তিনি ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘ বিদ্যালয় সমিতি পুরষ্কার, ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পুরষ্কার, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন পুরষ্কার, দি বার্ডস ইন্টারন্যাশনাল পুরষ্কার,
রোটারী ক্লাব অব ঢাকা ডাউন টাউন এবং রোটারেক্ট ক্লাব ঢাকা প্যাসিফিক পুরষ্কার এবং ১৯৯৫-১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বইপড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পুরষ্কার লাভ করেন। ২০০২ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ম্যাগাজিন আইটিকম এর বেস্ট ক্যাম্পাস রিপোর্টার এ ভূষিত হন এবং রোটারেক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিডসিটি এর স্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি রচনা,বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একাধিক সংস্থা কর্তৃক পুরষ্কার লাভ করেছেন।
প্রিয় তালিকা
হাসান শাহরিয়ারের প্রিয় তালিকাটা বেশ বড়। তার প্রিয় বন্ধুর তালিকায় আছেন, সালাউদ্দিন আহমেদ রাজন, শরীফ মো: আবুল হোসেন, আবদুর রউফ খান, মো: জোনায়েত হোসেন, স্বণা শারমীন বীথি, মীনা বেগম, জান্নাতুল নাইম, মো: শাহিদুল হক শাওন, সুজন চক্রবতী, সুফি আল মামুন, মো: মশিউর রহমান, ইরানী পারভীন সোমা, হাসিব রহমান, ঝুমা চৌধুরী।
এছাড়াও প্রিয় শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, প্রিয় ব্যক্তি হযরত মুহাম্মদ (সা:), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনা, প্রিয় সিনেমা: দীপু নম্বর টু, টাইটানিক, মোহাব্বাতে, চাক দে ইন্ডিয়া, প্রিয় বই: গডফাদার, হতাশ হবেন না, প্রিয় খাবার তেহারী, পিজ্জা, পাস্তা, চিকেন ফ্রাই, ইলিশ মাছ, প্রিয় রং নীল ও কালো, প্রিয় স্থান কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বার্ডস পার্ক।
আপনার বিষয়ে মানুষ কি জানে না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি সব সময় ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করি এবং সেটা নিয়ে কাজ করতে পচ্ছন্দ করি। অনেক সময় আমি হঠাৎ অনেক সিদ্ধান্ত নিই যা সব সময়ই সঠিক হয়। আমি খুব কোমল হূদয়ের। মানুষের জন্য যা করি মন থেকেই করি। তবে আমার জীবনের অপ্রাপ্তি এখনও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের এমপি হতে পারিনি।
Join Priyo to discover more contents
আরো কন্টেন্ট দেখতে প্রিয়তে যোগ দিন