প্রফেসর এমদাদুল হক খান- একাধারে তিনি একজন কবি, লেখক, কলামিষ্ট, সংবাদিক, গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ কুটনৈতিক কোরে চাকুরীরত একজন অফিসার। তার পিতার নাম আব্দুল জলিল খান, মাতার নাম আয়েশা আখতার খান। ০১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ সালে নেত্রকোনা জেলার সুসং দূর্গাপুর উপজেলার অর্ন্তগত ভাদুয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন এমদাদ। তার পিতা জনাব আব্দুল জলিল খান ছিলেন দূর্গাপুর উপজেলাধীন ৭ নং গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের নির্বাচিত ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বনামধন্য এক মুসলিমলীগ নেতা। 

এমদাদুল হক খান বাল্যকালে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে তার পিতার হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান ভাদুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। প্রাইমারী শিক্ষার পাশাপাশি পাশের গ্রামে চান্দের নগর আশরাফুল উলুম হুসাইনিয়া কওমি মাদরাসায় ভর্তি হন এবং পড়াশুনা চালিয়ে যান। এরই ধারাবাহিকতায় তাকমিল অর্থাৎ দাওরায়ে হাদিস পাশ করেন চট্টগ্রামের বিখ্যাত মাদরাসা দারুল উলুম হাটহাজারী থেকে। এছাড়া ১৯৯৫ সালে এস.এস.সি এবং ১৯৯৭ সালে এইচ.এস.সি. সম্পন্ন করেন তিনি। ২০০২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বিএ পাস কোর্স এবং ২০০৭ সালে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ থেকে এক্সিল্যান্ট রেজাল্টের মাধ্যমে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর ২০১৪ সালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল অ্যাওয়ার্ডভুক্ত হয়ে ২০১৬ সেশনে পিএইচডিতে ভর্তি হন আর বর্তমানে তিনি স্বীয় গবেষনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

দীর্ঘদিন যাবৎ এমদাদুল হক খান এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে অধ্যাপনায় নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া বর্তমানে তিনি ওর্য়াল্ড ওয়াইড হিউম্যান রাইটস ফাউ-েশন -এর সম্মানিত চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সম্মানিত একজন উপদেষ্ঠাও। উল্লেখ্য, তিনি সমগ্র বাংলাদেশে বিশেষত নেত্রকোনা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের উপজাতী ও দরিদ্রদের মাঝে রিকশা, কম্বল, গাভী বিতরণসহ হাসপাতাল, এতিমখানা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করণ মূলক বহু সামাজিক ও মানবিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। জনাব এমদাদুল হক খানের রচিত প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা ও ছোট বড় অগণিত লেখা-প্রবন্ধ-নিবন্ধ বিভিন্ন পত্রিকা ও গবেষনা ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তার স্বরচিত কবিতা গুচ্ছ জীবনের কথা নামক একটি বই প্রকাশিতব্য। তাঁর অঞ্চলে তিনি একজন খ্যাতনামা সমাজসেবক হিসেবে সুপরিচিত।