সিসিক মেয়রের সাথে বৃটিশ হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০১৯, ১০:৩৩
দৈনিকসিলেটডটকম:সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুুপুরে তিনি নগর ভবনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে এ সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতের সময় সিসিকের কর্মকর্তা ও বৃটিশ হাইকমিশনারের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকালে উভয়ে আধুনিক সিলেট নগরী গড়ে তোলার বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এসময় সিলেট মহানগরীর নানা উন্নয়ণ কার্যক্রম সম্পর্কে তার নিকট তুলে ধরে মেয়র বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তিনি ছড়া ও নালা উদ্ধারের মাধ্যমে নগরীকে শতভাগ জলাবদ্ধতামুক্ত করতে কাজ করছেন। এছাড়া নগরীকে যানজটমুক্ত করারও প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। সিসিক মেয়র বলেন, আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সিলেট নগরকে আধুনিক হিসেবে গড়ে তোলা। এছাড়াও বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি ও এডুকেশন এবং স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, নগরবাসীকে সার্বিক সেবা দিতে নগর এক্সপ্রেস নামের বাস সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। নগরীতে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুত লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে এবং নগরীর শিক্ষার উন্নয়নেও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সিলেটে বিভিন্ন ধর্মের লোকজনের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান। বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসনের প্রশ্নের জবাবে মেয়র জানান, সিলেটে মুসলিম সম্প্রদায় ছাড়া সিলেটে শতকরা ৩০ ভাগ অন্য ধর্মাবলম্বী নাগরীকরাও নগরীতে বাস করছেন। তাদের মধ্যে হিন্দু-খ্রিস্টান ছাড়াও আদিবাসীরা রয়েছেন। সরকারি দলের লোকজনের কাছ থেকে কি ধরণের সহযোগিতা পাচ্ছেন এ প্রশ্নের জবাবে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের ব্যাপারে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও তাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিলেটের উন্নয়ন করতে চাই। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট নগরীর মাস্টার প্ল্যানসহ অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বৃটিশ সরকারের টেকনিক্যাল সহযোগিতা কামনা করেন। জবাবে বৃটিশ হাইকমিশনার বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে মেয়রকে আশ্বস্ত করেন। এর আগে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসনকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। পরে তাকে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মনিপুরী নকশী কাঁথা ও তার সহধর্মীনির জন্য চাদর, চা-পাতা উপহার দেন।