বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরীর পঁচাত্তর জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, তার কবিতা মানুষকে উজ্জীবিত করে। আশা জাগায়। সহজ-সরল ভাষায় কবিতার মাধ্যমে তিনি মানুষকে কাছে টানার শক্তি পান। গতকাল বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পদক্ষেপ বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ। অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, মানুষকে যে ভালবাসে, মানুষের সমৃদ্ধিকে যে দেখতে চায় এরকম একটা মানুষ আসাদ চৌধুরী। তার মধ্যে একটা দেশজ ভাব আছে। সহজ-সরল একটা মানুষ। অনায়াসে মানুষকে কাছে টানে। তার প্রাণ সব সময় মানুষের কাছে যায়।আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আসাদ ভাই একজন আপাদমস্তক বাঙালি। তার কবিতা আমাকে উজ্জীবিত করেছে, মানুষকে উজ্জীবিত করেছে। তার কবিতা আমি আবৃত্তি করে মানুষকে উজ্জীবিত করেছি। আমি তার কাছে ঋণী।আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান কবি আসাদ চৌধুরী। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কবি বলেন, যারা ভাষা আন্দোলন করেছে, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধ করে জীবন দিয়েছেন তাদের একটাই উদ্দেশ্য ছিল, মাথা উঁচু করে বাঁচার। আমিও সেটাই চাই। অন্তর থেকে অসাম্প্রদায়িক হতে হবে। একজন কবি হিসেবে প্রকাশক, সম্পাদক ও পাঠকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। বলেন, প্রকাশক, সম্পাদকরা আছেন বলেই আমরা আছি। পাঠক আছে বলেই, পাঠকদের প্রীতি আছে বলেই আমরা বেঁচে আছি। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংবর্ধনা পর্ষদের সচিব ও পদক্ষেপ বাংলাদেশের সভাপতি বাদল চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কন্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন, কবি হাসান হাবিব, কবি আফরোজা কণা, শিশু একাডেমির পরিচালক ও শিশু সাহিত্যিক আনজির লিটন, ফারুক হোসেন প্রমুখ।