পানি সেচ দেয়ার পর এখন ফেলা হয়েছে ইট। সড়কটি এখন চলাচলের উপযোগী হলেও শেষ হয়নি বয়ে চলা দুর্ভোগ। কারণ ইট ফেলে সাময়িকভাবে চলাচলের উপযোগী করা হলেও স্থায়ী সংস্কার বা মেরামত কাজ শুরু হতে দেরি হবে। এমনটি জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরও আপৎকালীন সময়ে দ্রুত কিছুটা মেরামত হওয়ায় এখন অনেকটা চলাচলের উপযোগী হয়েছে। এজন্য মেরামত কাজে ব্যক্তি উদ্যোগে যারা এগিয়ে এসেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন তারা। তবে শিগগিরই স্থায়ী মেরামতের মাধ্যমে চলাচলে চরম দুর্ভোগ লাঘবের দাবি ওই সড়কের উপকারভোগীদের। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজার-বর্ণি সড়কের গর্তগুলোতে এখন ইট ফেলে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। বড়লেখা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ও প্রবাসী মো. সাইফুর রহমানের অর্থায়নে এবং মস্তফা উদ্দিন, ছরওয়ার আহমদ, নজরুল ইসলাম ও নিজাম উদ্দিনের উদ্যোগে ইট ফেলে সাময়িকভাবে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। এর আগে এ সড়কটির একটি বড় গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানি শ্যালো মিশন দিয়ে সেচ দেয়ার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সড়কটিতে সেচ দেয়ার দৃশ্যে অনেকেই নানা বিরূপ মন্তব্য করেন। অহেতুক এই জনদুর্ভোগের জন্য সংশ্লিষ্টদের দায়ীও করেন। বিষয়টি বড়লেখা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদের নজরে এলে এই জনদুর্ভোগ লাঘবে তিনি এগিয়ে আসেন। সড়কের ওই গর্তগুলোতে দ্রুত ইট ফেলে চলাচলের উপযোগী করা হয়। উল্লেখ্য, উপজেলার দাসেরবাজার-বর্ণি সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই স্কুল কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার ওই এলাকার হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় একাধিক গর্ত সৃষ্টি হয়। গেল কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সড়কটির গর্তে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। আর চরম দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়কের উপকারভোগীরা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো সাড়া না পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের টাকায় শ্যালো মেশিন লাগিয়ে সেচ দিয়ে সড়কের গর্তের পানি নিষ্কাশন করেন।